২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

মিশিগানে সাড়ম্বরে শিবরাত্রি ব্রত পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই ডেক্স : মিশিগানে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে শিবরাত্রি । শুক্র ও শনিবার দু’দিনে পড়েছে এই তিথি। ফাল্গুনের চতুর্দশী তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মহাদেব শিবের পূজা করেন। তাই এই তিথিকে শিব চতুর্দশী তিথিও বলা হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পল এবং মিশিগান কালিবাড়িতে ছিল পূণার্থীদের উপচেপড়া ভিড় । শিব বিগ্রহে অর্ঘ্য নিবেদন করেন ভক্তরা।  শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা, ফুল দিয়ে পূজা করেন।  আজ শনিবার  অনেকেই মন্দিরে না গিয়ে বাড়িতে পূজার্চনা করছেন।

কথিত আছে, এদিন শিবকে স্নান করিয়ে যে মনঃকামনা করা হয়, তাই পূরণ হয়। তাই  শিবের মতো বড় পাওয়ার জন্য অবিবাহিত নারীরা সারাদিন উপবাস থেকে শিবের মাথায় জল ঢেলে পুজো সম্পন্ন করেন ৷ তবে বিবাহিত দম্পতিরাও স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করার কামনায় শিবের পুজো করেন ৷ পুরুষরা সমৃদ্ধি কামনা করেন।

শিবরাত্রি সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। এই শিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। শিবরাত্রি হল হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব ‘শিবের মহা রাত্রি’। অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য শিবব্রত পালিত হয়।  হিন্দু মহাপুরাণ তথা শিব মহাপুরাণ অনুসারে এই রাত্রেই শিব সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের মহা তান্ডব নৃত্য করেছিলেন । আবার এই রাত্রেই শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল । এর নিগুঢ় অর্থ হল, শিব ও শক্তি তথা পুরুষ ও আদিশক্তি বা পরাপ্রকৃতির মিলন। এই মহাশিবরাত্রিতে শিব তার প্রতীক লিঙ্গ তথা শিবলিঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়ে জীবের পাপ নাশ ও মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। আর তাই মহাদেব শিবের আশীর্বাদ লাভের আশায় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শিবব্রত পালন করে থাকেন।

শিবরাত্রি সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। এই শিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। শিবরাত্রি হল হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব ‘শিবের মহা রাত্রি’। অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য শিবব্রত পালিত হয়।  হিন্দু মহাপুরাণ তথা শিব মহাপুরাণ অনুসারে এই রাত্রেই শিব সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের মহা তান্ডব নৃত্য করেছিলেন । আবার এই রাত্রেই শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল । এর নিগুঢ় অর্থ হল, শিব ও শক্তি তথা পুরুষ ও আদিশক্তি বা পরাপ্রকৃতির মিলন। এই মহাশিবরাত্রিতে শিব তার প্রতীক লিঙ্গ তথা শিবলিঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়ে জীবের পাপ নাশ ও মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। আর তাই মহাদেব শিবের আশীর্বাদ লাভের আশায় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শিবব্রত পালন করে থাকেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি
পর থেকে চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে গ্রামের ছাগল মালিকরা। মইদুল ইসলামের ২ টি ছাগল চুরি হয়েছে। এর ধারাবাহিক এই চুরির ঘটনার পর থেকে গ্রামজুড়ে চোর আতঙ্ক
বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রাম থেকে গত ১মাসে ৯ বাড়ি থেকে ১৬ টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলিমের ১টি, তহিদুল ইসলামের ১টি, আশরাফুল ইসলামের ৩টি, সাইদুল ইসলামের
১টি, জহির হোসেনের ১টি, দুরুদ মন্ডলের ১টি, তসলেম উদ্দিনের ২টি, ও আবু কালামের ২টি রয়েছে। চোরেরা ছাগল মেরে রেখে যায় আরও ১টি।
মইদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছি। মাঠে অল্প একটু জমি আছে, তা থেকে খাবার ধানটা কোন রকম আসে। বাজার আর অন্যান ব্যয়ভার চলতো
আমার ছাগল বিক্রি করে। ছাগল ২টি পেয়েছিলাম আমি ছাগল পোষানি থেকে। তাও নিয়ে গেল চোরেরা। তিনি বলেন,
৩ছেলে মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। সংসারের আয় করি আমি একাই। এদিকে একের পর এক ছাগল চুরির ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটছে ওই গ্রামের ছাগল মালিক লালন খন্দকার ও মমিনুর রহমান। তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে
ছাগল পালন করে আসছি। এমন সমস্যা হয়নি কোনদিন
প্রায় দিন না ঘুমিয়ে রাত কাটছে এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিশ্বাস বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে আমি জানি। বিষয়টি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় তোলা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কোনো
ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ( এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, চায়ের দোকানে গল্প শুনেছি ১/২ টা ছাগল চুরি হয়েছে। এই ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ ও করেনি

ঝিনাইদহের৷কোটচাদপুর ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি