২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

কয়রায় কার্তিক হত্যা মামলার প্রধান আসামী আটক।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় কার্তিক সরদার হত্যা মামলার মূল আসামীকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরকীয়া প্রেমের কারণে উপজেলার হরিকাটি গ্রামের মৃত রঘুনাথ সরদারের পুত্র কার্তিক সরদার(৪২)কে গত ২৭ সেপ্টেম্বর পানিতে চুপিয়ে হত্যা করে আমাদী ইউনিয়নের নাকসা গ্রামের ছোট চাঁদখালী খালে কচুরী পানার নিচে লুকিয়ে রাখে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে কয়রা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে নিহতের মামা পাইকগাছা উপজেলার মৌখালী গ্রামের মনোরঞ্জন সানা বাদী হয়ে কয়রা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং ২২। তাং ২৭/৯/২০২১ইং । ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নিহত কার্তিক সরদারের স্ত্রী অর্চনা সরদার (৩৫) ও বিনোদ সরদারের পুত্র সুরঞ্জন ওরফে বন্টে সরদার (৪০) কে আটক করে পুলিশ। তাদের স্বীকার উক্তিমতে হত্যা মামলার সাথে জড়িত মূল আসামী রনজিত মন্ডলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন বলেন, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান মহোদয়ের নির্দেশনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার প্রধান আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।

পরকীয়ার কারণে নিহত কার্তিক সরদারকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার প্রধান আসামী রনজিত মন্ডল স্বীকার করেছে। খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘনটাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি

তারিখঃ- ২৯/০৯/২১ ইং।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি
পর থেকে চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে গ্রামের ছাগল মালিকরা। মইদুল ইসলামের ২ টি ছাগল চুরি হয়েছে। এর ধারাবাহিক এই চুরির ঘটনার পর থেকে গ্রামজুড়ে চোর আতঙ্ক
বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রাম থেকে গত ১মাসে ৯ বাড়ি থেকে ১৬ টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলিমের ১টি, তহিদুল ইসলামের ১টি, আশরাফুল ইসলামের ৩টি, সাইদুল ইসলামের
১টি, জহির হোসেনের ১টি, দুরুদ মন্ডলের ১টি, তসলেম উদ্দিনের ২টি, ও আবু কালামের ২টি রয়েছে। চোরেরা ছাগল মেরে রেখে যায় আরও ১টি।
মইদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছি। মাঠে অল্প একটু জমি আছে, তা থেকে খাবার ধানটা কোন রকম আসে। বাজার আর অন্যান ব্যয়ভার চলতো
আমার ছাগল বিক্রি করে। ছাগল ২টি পেয়েছিলাম আমি ছাগল পোষানি থেকে। তাও নিয়ে গেল চোরেরা। তিনি বলেন,
৩ছেলে মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। সংসারের আয় করি আমি একাই। এদিকে একের পর এক ছাগল চুরির ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটছে ওই গ্রামের ছাগল মালিক লালন খন্দকার ও মমিনুর রহমান। তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে
ছাগল পালন করে আসছি। এমন সমস্যা হয়নি কোনদিন
প্রায় দিন না ঘুমিয়ে রাত কাটছে এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিশ্বাস বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে আমি জানি। বিষয়টি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় তোলা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কোনো
ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ( এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, চায়ের দোকানে গল্প শুনেছি ১/২ টা ছাগল চুরি হয়েছে। এই ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ ও করেনি

ঝিনাইদহের৷কোটচাদপুর ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি