২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

মানিকছড়ির লোকালয়ে বন্য হাতি,নিরাপত্তায় কাজ করছে বনবিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মোজাম্মেল হোসাইন
রামগড় প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার লোকালয়ে প্রবেশ করেছে দুটি বন্য হাতি।স্থানীয়রা ধারণা করছেন পাহাড়ের
বনাঅঞ্চল উজারের কারণে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে হাতিগুলো খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসেছে।হাতির আগমনে জনমনে উৎকন্ঠা ও আতংক দেখা দিয়েছে।
জানা যায়,সোমবার (১৩ ডিসেম্বর)ভোরে হাতি গুলো যোগ্যছোলা ইউনিয়নের গাড়িটানা বাজারের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবেশ করে মানিকছড়ির পান্না বিল নামক স্থানে অবস্থান নেয়।সেখানে হাতি দেখে উৎসুক জনতা ভীড় জমায়।পরে হাতি আসার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা নিকটস্থ মানিকছড়ি বন বিভাগে খবর দেয়।সেখান থেকে বনবিভাগের কর্মীরা এসে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। হাতি দুটিকে বনে ফেরাতে ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করতে যৌথভাবে কাজ করছে বনবিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
মানিকছড়ি বনবিভাগের সূত্রে জানা যায়, হাতিগুলোর আক্রমণে দুজন আহত হয়েছে।এছাড়া একটি ছাগল একটি গরুকে আক্রমণ করে এবং একটি বাড়ি ভাংচুর করে।
বন বিভাগের মানিকছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী হাতি প্রকৃতির অলংকার উল্লেখ করে প্রতিনিধিকে বলেন,বনে হাতি দুটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে বন বিভাগের কর্মী,স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ,সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। তবে উৎসুক লোকজনের জন্য কাজ করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।আমরা উৎসুকজনতাকে সচেতন করতে সভা করেছি।যাতে হাতিগুলোকে কেউ বিরক্ত না করে।এদের বিরক্ত করলে বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে।হাতির দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বনবিভাগের ক্ষতিপূরন দেওয়ার বিধান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়দের নিরাপত্তা ও হাতি গুলো নিরাপদে সরিয়ে নিতে যৌথভাবে কর্যক্রমে অংশ নেন চট্টগ্রাম বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা, খাগড়াছড়ির সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হোসেন,মানিকছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী,বাটনাতলী ক্যাম্প কমান্ডার,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারন জনতা।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি
পর থেকে চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে গ্রামের ছাগল মালিকরা। মইদুল ইসলামের ২ টি ছাগল চুরি হয়েছে। এর ধারাবাহিক এই চুরির ঘটনার পর থেকে গ্রামজুড়ে চোর আতঙ্ক
বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রাম থেকে গত ১মাসে ৯ বাড়ি থেকে ১৬ টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলিমের ১টি, তহিদুল ইসলামের ১টি, আশরাফুল ইসলামের ৩টি, সাইদুল ইসলামের
১টি, জহির হোসেনের ১টি, দুরুদ মন্ডলের ১টি, তসলেম উদ্দিনের ২টি, ও আবু কালামের ২টি রয়েছে। চোরেরা ছাগল মেরে রেখে যায় আরও ১টি।
মইদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছি। মাঠে অল্প একটু জমি আছে, তা থেকে খাবার ধানটা কোন রকম আসে। বাজার আর অন্যান ব্যয়ভার চলতো
আমার ছাগল বিক্রি করে। ছাগল ২টি পেয়েছিলাম আমি ছাগল পোষানি থেকে। তাও নিয়ে গেল চোরেরা। তিনি বলেন,
৩ছেলে মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। সংসারের আয় করি আমি একাই। এদিকে একের পর এক ছাগল চুরির ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটছে ওই গ্রামের ছাগল মালিক লালন খন্দকার ও মমিনুর রহমান। তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে
ছাগল পালন করে আসছি। এমন সমস্যা হয়নি কোনদিন
প্রায় দিন না ঘুমিয়ে রাত কাটছে এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিশ্বাস বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে আমি জানি। বিষয়টি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় তোলা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কোনো
ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ( এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, চায়ের দোকানে গল্প শুনেছি ১/২ টা ছাগল চুরি হয়েছে। এই ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ ও করেনি

ঝিনাইদহের৷কোটচাদপুর ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি