মোঃ সেলিম রেজা,
কেশবপুর,
যশোর।
মৌমাছি, মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি।
ছোটবেলার সেই কবিতা মুখস্ত করবার মত দৃশ্য আজ চোখের সামনে। সকাল থেকে মৌমাছি কর্মব্যস্তায় শুধু ছুটা ছুটি, এক সরিষা ফুল থেকে আরেক সরিষা ফুলে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে আর মধু সংগ্রহ করছে।
প্রকৃতির কি অপরূপ খেলা, কেশবপুরের প্রতাপপুর বাজারের সন্নিকটে সরিষা ক্ষেতে সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ থেকে আগত মৌয়ালেরা ১৭৫টি মৌমাছি বাক্স মধু সংগ্রহের জন্য বসিয়েছে। ১৪ দিন অবস্থান করবার পর আজ মধু সংগ্রহ করেছে। ১৭৫ টি বাক্সের মধ্যেও খুব কমই মধু উৎপন্ন হয় কারণ এখানে অনেক সরিষা ফুলের অভাব।
মধু সংগ্রহকারীদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম মধু উৎপন্ন হয় । মৌমাছি পালনকারীদের প্রত্যাশা ছিল ১৫ মন । সেখানে উৎপন্ন হয়েছে পাঁচ মন । যার বাজার মূল্য ৬০০০০ টাকা আনুমানিক ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে। স্থানীয় লোকজন মধু ক্রয় করবার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আমাদের সামনেই একজন ক্রেতা একমন মধু ক্রয় করে নিয়ে যায় ৩৫০ টাকা কেজি দরে। মধু ক্রয় করতে এসেছিল কেশবপুর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব স্যার। উনার সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে মধু খুবই ভাল ও খাঁটি যার ফলে উনি খুবই খুশি । উনাকে একফাকে মৌয়ালের ছবি তুলেতে দেখা যায় দূরে দাঁড়িয়ে।
তিনজন মৌয়াল মুখে প্রোটেকশন ব্যবহার করে এক বাক্স থেকে আরেক বাক্স মধু সংগ্রহ করছে। মধু সংগ্রহকারী তিনজন হচ্ছেন মোঃ আব্দুস সাত্তার, মোঃ আল আমিন এবং মোঃ শফিকুল ইসলাম । আজ দুপুরের পর মৌয়ালেরা মধু সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জ রওনা দিবেন।
Leave a Reply