২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

শালিখায় দুই যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি:

মাগুরার শালিখায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৯(১)(গ)/৩৬ ধারায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক শত টাকা জরিমানা করে আজ রোববার তাদেরকে মাগুরা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের চুকিনগর গ্রামের বিজন মন্ডলের ছেলে রনি মন্ডল(২৩) ও বিমল অধিকারীর ছেলে আকাশ অধিকারী(৩০)। গতকাল শনিবার রাত ৮ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শালিখা থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি ও এ এস আই তৌহিদের সঙ্গীয় ফোর্স চুকিনগর গঙ্গা ঘাট এলাকা থেকে দুই পুরিয়া গাঁজাসহ তাদের আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মোহাম্মদ বাতেনের পরিচালনায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের দু’জনকে ৩ মাসের জেল ১ শো টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বেন্স সহকারী এ এস এম আখতারুজ্জামান, প্রসেস সার্ভার ওলিয়ার রহমান, আনসার সদস্য বৃন্দ প্রমুখ। এব্যাপারে শালিখা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা গোলাম মোঃ বাতেন বলেন,পূর্বেই শালিখা উপজেলা কে শতভাগ মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমাদের এই অভিযান যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি তিনি মাদকদ্রব্য সেবন নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

মোঃ সাইফুল ইসলাম
শালিখা, মাগুরা
২২/০৮/২১

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি
পর থেকে চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে গ্রামের ছাগল মালিকরা। মইদুল ইসলামের ২ টি ছাগল চুরি হয়েছে। এর ধারাবাহিক এই চুরির ঘটনার পর থেকে গ্রামজুড়ে চোর আতঙ্ক
বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রাম থেকে গত ১মাসে ৯ বাড়ি থেকে ১৬ টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলিমের ১টি, তহিদুল ইসলামের ১টি, আশরাফুল ইসলামের ৩টি, সাইদুল ইসলামের
১টি, জহির হোসেনের ১টি, দুরুদ মন্ডলের ১টি, তসলেম উদ্দিনের ২টি, ও আবু কালামের ২টি রয়েছে। চোরেরা ছাগল মেরে রেখে যায় আরও ১টি।
মইদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছি। মাঠে অল্প একটু জমি আছে, তা থেকে খাবার ধানটা কোন রকম আসে। বাজার আর অন্যান ব্যয়ভার চলতো
আমার ছাগল বিক্রি করে। ছাগল ২টি পেয়েছিলাম আমি ছাগল পোষানি থেকে। তাও নিয়ে গেল চোরেরা। তিনি বলেন,
৩ছেলে মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। সংসারের আয় করি আমি একাই। এদিকে একের পর এক ছাগল চুরির ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটছে ওই গ্রামের ছাগল মালিক লালন খন্দকার ও মমিনুর রহমান। তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে
ছাগল পালন করে আসছি। এমন সমস্যা হয়নি কোনদিন
প্রায় দিন না ঘুমিয়ে রাত কাটছে এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিশ্বাস বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে আমি জানি। বিষয়টি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় তোলা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কোনো
ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ( এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, চায়ের দোকানে গল্প শুনেছি ১/২ টা ছাগল চুরি হয়েছে। এই ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ ও করেনি

ঝিনাইদহের৷কোটচাদপুর ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি