২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

১৩ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরদার বাদশা নিজস্ব প্রতিনিধি
খুলনা বিভাগ

১৩ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ডিসেম্বর মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয় এই দিনে।দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধান সড়কগুলোতে র‍্যালি প্রদর্শনী শেষে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক, প্রধান অতিথি ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন পারভীন রুমা,
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম,সহ-সভাপতি উত্তম মন্ডল , অশোক দেবনাধ , রিক্তা রায়,রাকিবুল ইসলাম ( পিন্টু )সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাতাব হোসেন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম লিপু, দপ্তর সম্পাদক লালন সোহাগ আলম বাপ্পি, অর্থ সম্পাদক জয়দেব কুমার সাহা, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কমলেশ মন্ডল, তাপস তরফদার, সদস্য মোড়ল আখতারুজ্জামান (বাবলু) এ সময় বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক ডুমুরিয়া মুক্তদিবস হিসেবে ঘোষণার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে ১০ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর আমরা যারা ডুমুরিয়ার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম তারা ডুমুরিয়ায় ফিরে আসি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ডুমুরিয়া থানায় স্থাপিত মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটি আক্রমণ করার। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখি মিলিশিয়া বাহিনী পালিয়ে গেছে। তখন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় মিছিল করে এবং আমরা ডুমুরিয়াকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করি। তিনি আরো বলেন, যখন দেখি সারাদেশে বিভিন্ন অঞ্চল শত্রুমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে তখন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়। আমরাও তো ’৭১ সালে ডুমুরিয়ায় শত্রুমুক্ত এলাকা ঘোষনা করি। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর। অথচ সেই দিনটির কথা অনেকেই জানেন না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এটি একটি ঘটনা। কিন্তু নতুন প্রজন্মকে তা জানাতে হবে। তিনি বলেন, বয়স বেড়েছে। প্রকৃতির নিয়ম অনুয়ায়ী বেশি দিন হয়তো বাচঁবো না। মুক্তিকালিন সময়ে এই ডুমুরিয়ার চুকনগরে ২০ মে ঘটে ভয়াবহ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। যা দেশের সবচেয়ে বড় গণহত্যা বলে জানা যায়। তিনি বলেন, ডুমুরিয়া এলাকার খর্ণিয়া, বানিয়াখালী, কাপালিডাঙ্গা, কাকমারী, শলুয়া এবং ডুমুরিয়া-বটিয়াঘাটা উপজেলা সীমান্ত বারোআড়িয়ায় রাজাকারদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। সেই ডুমুরিয়া শত্রুমুক্ত হয়েছিল ১৩ ডিসেম্বর যা অনেকেই জানেন না। নিজের কর্তব্য ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ২০১১ সালে প্রথম দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়। তার পর থেকে আড়ম্বর সহকারে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি
পর থেকে চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে গ্রামের ছাগল মালিকরা। মইদুল ইসলামের ২ টি ছাগল চুরি হয়েছে। এর ধারাবাহিক এই চুরির ঘটনার পর থেকে গ্রামজুড়ে চোর আতঙ্ক
বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রাম থেকে গত ১মাসে ৯ বাড়ি থেকে ১৬ টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলিমের ১টি, তহিদুল ইসলামের ১টি, আশরাফুল ইসলামের ৩টি, সাইদুল ইসলামের
১টি, জহির হোসেনের ১টি, দুরুদ মন্ডলের ১টি, তসলেম উদ্দিনের ২টি, ও আবু কালামের ২টি রয়েছে। চোরেরা ছাগল মেরে রেখে যায় আরও ১টি।
মইদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছি। মাঠে অল্প একটু জমি আছে, তা থেকে খাবার ধানটা কোন রকম আসে। বাজার আর অন্যান ব্যয়ভার চলতো
আমার ছাগল বিক্রি করে। ছাগল ২টি পেয়েছিলাম আমি ছাগল পোষানি থেকে। তাও নিয়ে গেল চোরেরা। তিনি বলেন,
৩ছেলে মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। সংসারের আয় করি আমি একাই। এদিকে একের পর এক ছাগল চুরির ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটছে ওই গ্রামের ছাগল মালিক লালন খন্দকার ও মমিনুর রহমান। তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে
ছাগল পালন করে আসছি। এমন সমস্যা হয়নি কোনদিন
প্রায় দিন না ঘুমিয়ে রাত কাটছে এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিশ্বাস বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে আমি জানি। বিষয়টি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় তোলা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কোনো
ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ( এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, চায়ের দোকানে গল্প শুনেছি ১/২ টা ছাগল চুরি হয়েছে। এই ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ ও করেনি

ঝিনাইদহের৷কোটচাদপুর ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি