২৪শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৯ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

ধামরাই’তে হিন্দু বাড়ীর বসত ভিটা দখলের উদ্দেশ্যে নারী-পুরুষের উপর হামলা:জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই নিউজ:গত ১৯শে জুন’ মঙ্গল বার ধামরাই পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কায়েতপাড়া যদুনাথ শরৎ চন্দ্র বিদ্যাপীঠ এর পেছনের হিন্দু বাড়ীতে নারী ও পুরুষের উপর অবৈধ ভাবে সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টায় লোহার রড দিয়ে আক্রমনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ’ব্যাপারে উক্ত হিন্দু বাড়ীর জীবন মন্ডল বলেন- পাশ্ববর্তী হযরত আলীর পুত্র সোহেল রানা ও জুয়েল রানা আমার বসত বাড়ীর জায়গা দখলের অপচেষ্টায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।

তারা বিভিন্ন সময়ে আমাদের বাড়ীতে এসে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে। বিষয়টি এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে এরই জের ধরে ১৯শে জুন দুপুর সাড়ে বারোটার সময় ওরা সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন লোক নিয়ে আমার বাড়ীতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। আমি ঘর থেকে বের হওয়া মাত্রই সোহেল রানা তাহার হাতে থাকা রড দিয়ে পিটাইয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্হানে জখম করে, আমার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তার ভাই জুয়েল রানা আমার স্ত্রীকে চর,থাপ্পর,কিল,ঘুষি মারা সহ বিবস্ত্র করিয়া ফেলে।এ সময় আমাদের ডাক চিৎকারে লোকজন আসলে তখন তারা আমাদের প্রাণ নাশের হুমকিও লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

হামলায় আহত জীবন মন্ডল ও তার পরিবারকে ধামরাই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ধামরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জীবন মন্ডল।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ,ধামরাই শাখা মানব বন্ধন করে।উক্ত এলাকা ও বাড়ী পরিদর্শনকালে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান উপজেলার সভাপতি- খগেশ রাজবংশী সেই সাথে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।