২৫শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১০ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বৃহস্পতিবার

ভারত সরকার তালিবান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য যেন না করেন, চরম হুমকি দিল তালিবান নেতা শাহাবুদ্দিন দিলাওয়ার।।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তালিবান সরকার নিয়ে বলেছিলেন যে, যারা সন্ত্রাসের আদর্শ নিয়ে সম্রাজ্য স্হাপন করতে চাইছে, তারা কিছুদিনের জন্য সফল হতে পারে। তবে তাদের আমি কখনো চিরস্থায়ী হয় না। কারণ তারা কখনো মানবতাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। এই মন্তব্য জেরে আজ আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়া সরকারের মুখপাত্র ও তালিবান মিলিয়েশিয়া সরকারের শীর্ষ নেতা জনাব শাহাবুদ্দিন দিলাওয়ার পাকিস্তানের একটি সরকারি টিভি চ্যানেল কে ব্রিফিং দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন যে ভারত সরকার যেন মনে করেন তালিবান মিলিয়েশিয়া সরকার দুর্বল। তারা ইচ্ছা করলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের মুজাহিদদের সাহায্য করতে পিছুপা হবে না। ভারত যেন নিজের চরকায় তেল দেন। তবে তারা চায় না আফগানিস্তানের পড়শী দেশ ভারতের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হোক। তবে ভারত যদি আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেন তাহলে তার উপযুক্ত জবাব দিতে তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধারা তৈরি আছেন। তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধারা আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়া বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেখানে ভারত তৎকালীন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনি কে সবরকমের সাহায্য করেছে তালিবান মিলিয়েশিয়া বিরোধী লড়াইয়ে। কিন্তু তারা চায় ভারতের সাথে বন্ধুত্ব। সেই সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পাকিস্তান সরকার প্রায় ত্রিশ লক্ষ আফগানিস্তানের বাসিন্দা কে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা দেখিয়েছেন। সেই সঙ্গে পাকিস্তান সরকার ও চীন এবং তুরস্ক আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়া সরকার ক্ষমতায় আনতে সামাজিক ও কূটনৈতিক এবং সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য করেছে তার জন্য তারা সবসময় পাকিস্তান সরকার কে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন। তবে এবার আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার সরকার মানবিক সরকার স্হাপন করতে চলেছে তার সারা বিশ্বের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।