২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

ঝিকরগাছায় দুই ভাইপোর বিরুদ্ধে জিডি করলো ইউপি চেয়ারম্যান চাচা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শাহাবুদ্দিন মোড়ল ঝিকরগাছা

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা ৮নং নির্বাসখোলা ইউনিয়নে সাদীপুর গ্রামে দুই ভাইপোর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রী করলো ইউপি চেয়ারম্যান চাচা নজরুল ইসলাম (৬০)। তিনি বর্তমানে ৮নং নির্বাসখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাদীপুর গ্রামের মৃত ছিদ্দিক হোসেনের ছেলে। উক্ত সাধারণ ডায়রীতে বিবাদী করেন, আপন ভাইপো মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে জ্যাক হাসান মিন্টু (৩৫) ও মৃত রুহুল আমিনের ছেলে সাইফুল হাসান পিন্টু (৩২)।
সাধারণ ডায়রীতে চেয়ারম্যান চাচা উল্লেখ করেছেন, বিবাদীগণ খুব খারাপ ও উচ্ছৃংখল প্রকৃতিক লোক। বিবাদীগণের ফেসবুক আইডিতে চেয়ারম্যান চাচার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভাইপো পিন্টু ফেসবুক লাইভে এসে চেয়ারম্যান চাচার নামে উস্কানি মূলক বক্তব্য দিয়ে বল্লা গ্রামস্থ স্বর্ণকার মিলনের কাছে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া, সাদিপুর গ্রামস্থ ইছহাক আলীর স্ত্রী মনিয়া বেগমের একটানা ৫ বছর ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ নামের আইডি দিয়ে চেয়ারম্যান চাচার নামে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠায়।
আগুনে পুরা জীবন নামের ফেসবুক আইডিতে চেয়ারম্যান চাচার নামে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চাঁদাবাজি করে বাড়ি বানানোর অভিযোগ উঠায়। নির্বাসখোলা ইউনিয়ন যুবলীগ ফেসবুক আইডি দিয়ে চেয়ারম্যান চাচার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এম ডি মাইকেল মিন্টু ফেসবুক আইডি দিয়ে কানারালী গ্রামস্থ মুসা কে মারপিট ও একই গ্রামের বক্তাজামানের স্ত্রী রেখার নিকট থেকে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায়। এমতাবস্থায় গত ১৫ জুলাই ২০২১ সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টায় ১ ও ২ নং বিবাদী বা ভাইপো’র দের তার (চেয়ারম্যান চাচা) উপর অপপ্রচারের বিষয়ে নিষেধ করলে বিবাদীগণ বা ভাইপোগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাদের চেয়ারম্যান চাচাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি সহ খুন-জখম করবে বলে হুমকি প্রদান করে। যার জন্য চেয়ারম্যান চাচা ভাইপোদের দ্বারা যে কোন সময় ক্ষতি করতে পারে মর্মে আশংকা করে থানায় লিখিত ভাবে সাধারণ ডায়রী বা জিডি করেছেন।
ঘটনা সর্ম্পকে বিবাদী বা ভাইপো জ্যাক হাসান মিন্টু বলেন, সাধারণ ডায়রী অনুযায়ী সুষ্ঠ তদন্ত করা হোক। তদন্তে যদি আমরা দোষী হয় তাহলে আমাদের আইনের আওতায় আনা হোক। আর যাদি তিনি (চেয়ারম্যান চাচা) দোষী হয় তাহলে তাকেও যেন আইনের আওতায় হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৮নং নির্বাসখোলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম তার দুই ভাইপোর নামে সাধারণ ডায়রী করেছেন। সাধারণ ডায়রীর উপর ভিত্তি করে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।