২৪শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৯ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

ইয়েমেন ৩ বছরে অপুষ্টিতে ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তানভীর তানজিম : মৃত শিশুদের এই সংখ্যাটি যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্মিংহামের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সংখ্যার সমান বলে জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন, খবর বিবিসির।

এক কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ইয়েমেনি দুর্ভিক্ষের মুখে আছে বলে গত মাসে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এই বিশ্ব সংস্থাটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মানবিক সংকট সৃষ্টিকারী ইয়েমেনের যুদ্ধ অবসানে লড়াইরত পক্ষগুলোরকে আলোচনার টেবিলে বসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এ লড়াইয়ে ইয়েমেন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদিকে বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার পর দেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী, এতে লড়াই আরও ছড়িয়ে পড়ে।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, এ যুদ্ধে অন্তত ৬,৮০০ বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০,৭০০ জন আহত হয়েছেন।

এ যুদ্ধ ও সৌদি জোটের আংশিক অবরোধ দেশটির দুই কোটি ২০ লাখ লোককে মানবিক ত্রাণ সহায়তার ওপর বেঁচে থাকার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জরুরি খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে এবং কলেরার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে এক কোটি ২০ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুর্যোগময় এসব পরিস্থিতিতে প্রকৃতপক্ষে কতোজনের মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যা নির্ধারণ করার অত্যন্ত কঠিন।

ইয়েমেনে কাজ করা ত্রাণ কর্মীরা জানিয়েছেন, দেশটির হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর মধ্যে মাত্র অর্ধেকের মতো এখনও সচল আছে আর অনেক লোকই এত গরিব যে যেগুলো খোলা আছে সেগুলোতে চিকিৎসা নেওয়ার মতোও সঙ্গতি নেই তাদের।

জাতিসংঘের সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, তাদের হিসাবে এপ্রিল ২০১৫ থেকে অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৮৪,৭০০ শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

বাড়তে থাকা খাদ্যমূল্য ও গৃহযুদ্ধের কারণে মান হারাতে হতে থাকা ইয়েমেনি মুদ্রা আরও অনেক পরিবারকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

আরও বেশি পরিমাণ লোককে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য সৌদি জোটের অবরোধকে দায়ী করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ত্রাণ সংগঠনটি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।