[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

 

 

চাইথোয়াইমং মারমা ।

 

রাজস্থলী ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি ;

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রায় আট মাস পর রোববার সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ২ টি কেন্দ্রে এস এস সি, ও ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়। এবারে শুধু গ্রুপ ভিত্তিক,বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্টিত হচ্ছে উপজেলার দুই টি কেন্দ্রে সর্বমোট ৩৩৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করবে। তার মধ্যে প্রথম দিন পদার্থ বিজ্ঞানে রাজস্থলী কেন্দ্রে ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ জন অংশ গ্রহন করে। দুই জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। অপর দিকে বাঙালহালিয়া ভোকেশনাল পরীক্ষা কেন্দ্রে ৭৬ জন কারিগরি পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করলে ও ৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে বলে কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক আখ্যমং মারমা জানান। কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হতে শেষ হওয়া পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিষ্ট্রেট শান্তনু কুমার দাশ ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মফজল আহমদ খান উপস্থিত ছিলেন।

রাজস্থলীতে এস এস সি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্টিত ।

রাফুল উদ্দিন ঃ-

সুজলা-সুফলা, শষ্য-শ্যামলা নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সুবর্ণচরের কৃষিতে। ফলে উক্ত উপজেলায় কৃষিতে এসেছে বৈচিত্রতা। তাই এখানকার কৃষি নিয়ে গর্বের কমতি নেই মানুষজনের। পত্রিকার পাতায় খবর প্রকাশ হয় সুবর্ণচরের কৃষি নিয়ে। বিশেষ করে শশা, শীম, তরমুজ, সয়াবিন এর মৌসুমে কৃষকের হাসিমাখা মুখের ছবি দেশের প্রায় প্রতিটি পত্রিকায় স্থান পায়। এত গৌরবের উক্ত উপজেলাধিন আবাদি জমি প্রতি বছর ১ শতাংশ করে হ্রাস পাচ্ছে। আঁধারে ঢেকে যাচ্ছে যেন একখন্ড আলোর ঝিলিক।

 

সুবর্ণচরের আবাদি জমি প্রতি বছর হ্রাস পাওয়াতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সচেতন সুবর্ণচরবাসী সহ অত্র অঞ্চলে কর্মরত অন্যান্য গুণীজনেরা।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, কৃষিতে সুবর্ণচরের যেমন রয়েছে সাফল্য, রয়েছে বিপুল সম্ভাবনাও। কৃষির প্রতি এখানকার মানুষ বেশ আন্তরিক। আমাদের ভালোবাসার জায়গা জুড়ে বাংলার কৃষি। সারা দেশের মতো করে সুবর্ণচরেও প্রতি বছরে হ্রাস পাচ্ছে আবাদি জমি। এটি উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে- অপরিকল্পিত ভাবে নতুন নতুন বাড়ি ঘর, হাট বাজার, অফিস, ইট ভাটা ইত্যাদি নির্মাণ। আমি মনে করি এখনই এ সম্পর্কে আমাদের ভাবা উচিৎ।

 

বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মহি উদ্দিন মানিক বলেন, প্রিয় জন্ম ভূমি সুবর্ণচরের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড কৃষি। সুবর্ণচরের কৃষিতে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে যুক্ত হয়েছে আধুনিকতা। খবর পেয়ে জানতে পেরেছি, সুবর্ণচরের কৃষি’র উত্তরোত্তর সাফল্যের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা প্রিয় কৃষক ভাইদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সরকারি বরাদ্ধ যথাযথ ভাবে হস্তান্তর করেন। কৃষকেরা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে মাটি চষে উৎপাদন করেন নানান পদের কৃষি ফলন। এতদ্ব সত্ত্বেও আমাদের জন্য হতাশার খবর- ইচ্ছে মতো আবাদি জমি’র ক্ষতি সাধন করে বাড়ি ঘর নির্মাণ। অপরিকল্পিত যে কোন কাজই উন্নয়নের অন্তরায়।

 

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, চোখ জুড়ে যায়; মন ভরে যায় সুবর্ণচরের মাঠে মাঠে ফসলের হাসি এবং আমার কৃষক ভাইদের মুখে আনন্দের হাসি দেখে। তারা উপজেলাধিন মানুষের খদ্যের চাহীদা মিটিয়ে শহরে বাস করা মানুষের খদ্যের চাহীদা মেটাতে রাখেন অপরিসীম ভূমিকা। তাদের উপার্জন হালাল। কিন্তু এখন শংকা হয় এই প্রিয় মানুষগুলো কতদিন আদি পেশায় টিকে থাকতে পারবেন ? যেখানে প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে আবাদি জমি হ্রাস পাচ্ছে ! আমাদেরকে এই বিষয়ে এখনই সচেতন হতে হবে।

 

সুবর্ণচরে হ্রাস পাচ্ছে আবাদি জমি সচেতন ব্যক্তিদের উদ্বেগ প্রকাশ।