নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মো. মহাসিন মিয়া, দীঘিনালা।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় একটি বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ১নং মেরুং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের রশিক নগর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম, পিতা-মো. ইয়াদ আলী’র বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, তাৎক্ষনিক বসতঘরে কোনো লোকজন ছিলোনা। আগুন জ্বলতে দেখলে স্থানীয়রা দীঘিনালা ফায়ারসার্ভিস ইউনিটকে ফোন করে। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
রফিকুল ইসলাম’র স্ত্রী সাজেদা আক্তার জানান, আমার স্বামী একজন দিনমজুর। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়িতে কাজের সন্ধানে গেছেন। তার ছোট দু’টি ছেলে গিয়েছে নানার বাড়িতে বেড়াতে। বাড়িতে স্বামী ও ছেলে দু’টো না থাকার কারনে আমি একা হয়ে যাই। তাই আমি রাতে আমাদের বাড়ির একটু পাশেই শশুর বাড়িতে গিয়ে রাত্রী যাপনের জন্য শুয়েছিলাম। এমতাবস্থায় আগুন লাগার খবর শুনে গিয়ে দেখি আমার দীর্ঘদিনের কষ্ট করে সাজানো সংসার ও বারান্দা সহ বসতঘরটি নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ঘরে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র, চালের বস্তা, প্রয়োজনীয় কাগজ ও জিনিসপত্র সহ সব কিছুই পুড়ে গেছে, কিছুই বের করতে পারিনি। আমি যে এখন নিঃস্ব গেলাম।
এবিষয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের টিম লিডার বাবলা দাশ বলেন, আমরা অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে খবর পেয়ে দ্রুত দু’টি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসি। ফলে স্থানীদের সহযোগিতায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনও জানা যায়নি।
এবিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে তারা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রফিকুল ইসলাম’র পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
Leave a Reply