[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী হেডম্যান কার্বারী সম্মেলন ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক।

চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, সমাজে নারী হেডম্যান কার্বারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তৃণমূল গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজে বিচার কাজে নারীদের আরো দক্ষ করে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হেডম্যান কার্বারীদের ভূমিকা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথা, রীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখা। সমাজের অগ্রগতিকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রথাগত নেতৃত্বে নারী কার্বারী নিয়োগ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের রাজদ্বীপ সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক সম্মেলন কক্ষে তিন পার্বত্য জেলার নারী হেডম্যান ও কার্বারীদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিএইচটি নারী হেডম্যান কার্বারী নেটওয়ার্কের সভাপতি জয়া ত্রিপুরার সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা। এসময় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি এসআইডি-সিএইচটি জেন্ডার এন্ড কমিউনিটি কোহেসন চীফ ঝুমা দেওয়ান, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক সহ-সভাপতি এড. ভবতোষ দেওয়ান, এড. সুষ্মিতা দেওয়ান, বান্দরবান গ্রাউস নির্বাহী পরিচালক চাই সিং মং প্রমুখ।

ইউএনডিপির সহায়তায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (পর্যায়-২) প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ এই সম্মেলন গ্রাউস, টংগা, আশিকা আয়োজন করে। পার্বত্য অঞ্চলের ৪ জন নারী হেডম্যান (মৌজা প্রধান) ও ২৮০ জন কারবারী (পাড়া প্রধান) সম্মলনে অংশ নিয়েছেন।

সম্মেলনে নারী হেডম্যান কার্বারীরা বলেন, পুরুষদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে নারী হেডম্যান কার্বারীদের সম্মানি ভাতা কেন দেওয়া হবে না। এছাড়া প্রত্যেক নারী হেডম্যানদের অফিস করে দেওয়াসহ বেশ কয়কটি দাবী তুলে ধরেন তারা।

কাউখালি উপজেলার এক মহিলা কার্বারী বলেন, আমরা সবাই মিলে উপজেলা পর্যায়ে নারী কার্বারীদের কমিটি গঠন করবো। আমাদের উপজেলায় প্রায় ১৮ থেকে ২০ জন মহিলা কার্বারী আছি তবে আমাদেরকে রাঙ্গামাটি জেলা ছাড়া অন্য কোন স্থানে ট্রেনিং এ নিয়ে যাওয়া হয় না।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *