২২শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৭ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

৩৩৩-এ কল করে খাদ্য সহায়তা পেল মঠবাড়িয়া উপজেলার ১১৪ পরিবার।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এফ এইচ রাজু পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ

 

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১১৪ অসহায় দুস্থ পরিবার জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন অসহায়দের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।

জানা গেছে, মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন, সাথে হঠাৎ টানা ৫ দিনের ভারী বর্ষণে পানিবন্ধী হয়ে খাদ্য সঙ্কটে ভুগতে থাকা কর্মবিমুখ ওই অসহায় ১১৪ পরিবার ৩৩৩ নম্বরে কল করে নিজেদের নাম ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে খাদ্য সহায়তা চান। জাতীয় কল সেন্টার ওই তথ্য মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে পাঠান। পরে আবেদনকারীদের সে তথ্য যাচাই-বাছাই করে উপজেলা প্রশাসন অসহায়দের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।

সহায়তাপ্রাপ্তদের মধ্যে উপজেলা আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন থেকে ৫৮ জন, সাপলেজা ইউনিয়নে ২২ জন , ধানি সাফা ইউনিয়ন থেকে ৯ জন, মিরুখালী ইউনিয়ন থেকে ৫ জন, টিকিকাটা ইউনিয়ন থেকে ৬ জন, বেতমোড় রাজপাড়া ইউনিয়ন থেকে ৫ জন, বড়মাছুয়া ইউনিয়ন থেকে ২ জন, মঠবাড়িয়া পৌরসভা থেকে ৪ জন, এছাড়া গুলিশাখালী, দাউদখালী ও মঠবাড়িয়া (সদর) ইউনিয়নে ১ জন করে মোট ১১৪ জন অসহায় দুস্থ পরিবার এ খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার জানান, ৩৩৩-এ ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়া উপকারভোগী পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে আমরা খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেই। কোরবানীর আগের দিন থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত তাদের হাতে এ খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। খাদ্যসামগ্রী হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবন ও ২ কেজি আলুসহ একটি প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।