২২শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৭ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

সুনামগঞ্জের ছাতকে নোয়া নদীর উপর নির্মাণকৃত বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন।।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

  1. ছাতক প্রতিনিধিঃ

ছাতকের দড়ারপাড় গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নোয়া নদীর উপর গ্রামবাসীর দেয়া বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে নদীর পানি গতিপথ স্বাভাবিক করে দেয়া হয়েছে। গ্রামবাসীর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার দুপুরে গ্রামের লোকজনের সহায়তায় বাঁধ কেটে পানি চলাচল স্বাভাবিক করে দেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইসলাম উদ্দিন। দীর্ঘদিন আগে দু’পারের সহজ যাতায়াতের সুবিধার জন্য দড়ারপাড় গ্রাম সংলগ্ন নোয়া নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে গ্রামের লোকজন। বাঁধ নির্মাণের ফলে ফসলী জমিতে পানি সেচ সহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয় এখানে। প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁধ কেটে নদীর গতিপথ স্বাভাবিক করায় স্বস্তি ফিরে আসে গ্রামের সাধারন মানুষের মাঝে। স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের দড়ারপাড় গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নোয়া নদী। প্রায় ৮কিমি দীর্ঘ ও প্রায় দেড় শ’ ফুট প্রশস্থ এ ছোট নদীকে ঘিরে দড়ারপাড় সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখ জড়িয়ে আছে। যুগ-যুগ ধরে এখানের চাষাবাদ ও মৎস্য আহরনে নদীর পানি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কালের প্রভাবে কতিপয় প্রভাবশালী নদী দখলের কারনে এর নাব্যতা ও প্রশস্থতা কমতে-কমতে প্রায় খালে পরিনত হয়েছে এ নদী। শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে নদীটি মৃত প্রায় হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নদীর প্রশস্থতা কমে গেলে গ্রামের মানুষ দু’পাড়ে সহজ যাতায়াতের জন্য নদীর এপাড়-ওপাড় বরাবর মাটি ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে বাঁধের এক দিকে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা এবং ওপর দিকে সৃষ্টি হয় পানি শুন্যতা। বাঁধ নির্মাণের ফলে গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল। সম্প্রতি বাঁধ কেটে নদীর পানির স্বাভাবিক গতিপথ সৃষ্টির জন্য গ্রামবাসী সহকারী কমিশনার(ভুমি) বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নোয়া নদীর এ বাঁধ কেটে নদীর পানির গতিপথ স্বাভাবিক করে দিলে গ্রামবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। বাঁধ কাটতে গ্রামবাসী সার্বিক সহযোগিতা করে প্রশাসনকে। এসময় দু’পাড়ে সহজ যাতায়াতের জন্য বাঁধে অংশে নদীর উপর একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবীও জানায় গ্রামবাসী। সহকারী কমিশনার(ভুমি) ইসলাম উদ্দিনের সাথে সার্ভেয়ার এডিএম রুহুল আমিন, পীরপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কাজী রফিকুজ্জামান, উচ্চমান সহকারী সত্যন্দ্র লাল রায় সহ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইসলাম উদ্দিন এ ব্যাপারে জানান, বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপথ রোধ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি বুজতে পেরে কোন ধরনের আপত্তি না করে বাঁধ কাটতে গ্রামবাসী সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।##

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।