২১শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৬ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

সুইপারম্যান: শুটিংয়ের অভাবনীয় কষ্টের গল্প শোনালেন ফারহান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গত ঈদের অন্যতম প্রশংসিত নাটক ‘সুইপারম্যান’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুণ অভিনেতা ফারহান। চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে আপাদমস্তক সুইপার বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। যা দর্শক এবং সমালোচক সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

‘সুইপারম্যান’ নির্মাণ করেছেন মাবরুর রশীদ বান্নাহ। এতে ফারহানের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন পারসা ইভানা, ফজলুর রহমান বাবু, শিশুশিল্পী আরিত্রা প্রমুখ। নাটকটির জন্য ফারহান অভাবনীয় শ্রম দিয়েছেন। সেই বিহাইন্ড দ্য সিনের গল্পটা তিনি শেয়ার করলেন ঢাকা পোস্ট-এর সঙ্গে।

প্রসঙ্গের শুরুতেই এলো ম্যানহলের দৃশ্যটি। কী ভেবে এমন একটি দৃশ্যে অভিনয় করলেন? প্রশ্ন শুনে ফারহান ফিরে গেলেন শুটিংয়ের সময়ে। স্মৃতিচারণ করে বললেন, ‘ম্যানহলের দৃশ্যটা কিন্তু দরকার ছিল না। এটাকে অন্যভাবেও দেখানো যেত। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, দৃশ্যটা যদি না দেখানো হয়, তাহলে দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কারণ আমার লাইফস্টাইল, আমার অবয়ব দর্শকরা ভালো করেই জানেন। তো হঠাৎ করে আমি স্ক্রিনে একটা সংলাপ বলে দিলেই কিন্তু সেটা বাস্তবসম্মত হবে না। যেহেতু এটা আমার রেগুলার ক্যারেক্টারের বাইরে। সেজন্য আমার মনে হয়েছে, দর্শকদের হৃদয়কে স্পর্শ করার জন্য দৃশ্যটা দেখানো জরুরি।’

নাটকটির একটি দৃশ্যে দেখা যায়, স্কুলে অন্য শিশুদের বাবা-মাও আসেন। তারা জোরালো আবেদন জানান, পরীকে (নাটকে ফারহানের কন্যা) স্কুলে রাখা যাবে না। ওই দৃশ্যে কেবল ফারহান নন, অন্য অভিভাবক চরিত্রে যারা ছিলেন, তারাও উতরে গেছেন দারুণভাবে। বিষয়টি নিয়ে ফারহান বলেন, ‘এটার সম্পূর্ণ অবদান বান্নাহ ভাইয়ের। তিনি এতোগুলো চরিত্র একসঙ্গে সামলেছেন, চরিত্রে ঢোকার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করেছেন। যার ফলে প্রত্যেকটা শিল্পী একেবারে গল্পের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। এটা সত্যিই ভালো লাগে, যখন দেখি সহশিল্পীরা সবাই চরিত্রের ভেতরে ঢুকে গেছেন। তখন নিজের ভেতর থেকেও একটা ভালো আউটপুট বেরিয়ে আসে।’

এখানেই শেষ নয়, গল্পের প্রয়োজনে এ নাটকের অধিকাংশ শুটিং হয়েছে উত্তরার একটি বস্তিতে। ফারহান বললেন, ‘পুরো জায়গাটি যথেষ্ঠ অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধযুক্ত ছিল। যেখানে বসে আমরা মেকআপ নিয়েছি, সেখানে একটি গরুর বাছুর বাঁধা ছিল। আবার আশেপাশে আরও অনেকগুলো গরু ছিল। দেখা গেল, কিছুক্ষণ পর বাছুরটি মলত্যাগ করছে, অন্য গরুগুলো ডাকাডাকি করছে। এছাড়া আমরা যেই বিছানায় বসে বা শুয়ে শট দিয়েছি, সেখানেও দুর্গন্ধ ছিল। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই আমরা শুটিং করেছি। ম্যানহলে নামার জন্য আমার ঘণ্টা দুয়েকের কষ্ট হয়েছিল। তবে পুরো নাটকটির জন্য গোটা দুই দিন কষ্ট করতে হয়েছে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।