২৯শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৩ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

সুইপারম্যান: শুটিংয়ের অভাবনীয় কষ্টের গল্প শোনালেন ফারহান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গত ঈদের অন্যতম প্রশংসিত নাটক ‘সুইপারম্যান’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুণ অভিনেতা ফারহান। চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে আপাদমস্তক সুইপার বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। যা দর্শক এবং সমালোচক সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

‘সুইপারম্যান’ নির্মাণ করেছেন মাবরুর রশীদ বান্নাহ। এতে ফারহানের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন পারসা ইভানা, ফজলুর রহমান বাবু, শিশুশিল্পী আরিত্রা প্রমুখ। নাটকটির জন্য ফারহান অভাবনীয় শ্রম দিয়েছেন। সেই বিহাইন্ড দ্য সিনের গল্পটা তিনি শেয়ার করলেন ঢাকা পোস্ট-এর সঙ্গে।

প্রসঙ্গের শুরুতেই এলো ম্যানহলের দৃশ্যটি। কী ভেবে এমন একটি দৃশ্যে অভিনয় করলেন? প্রশ্ন শুনে ফারহান ফিরে গেলেন শুটিংয়ের সময়ে। স্মৃতিচারণ করে বললেন, ‘ম্যানহলের দৃশ্যটা কিন্তু দরকার ছিল না। এটাকে অন্যভাবেও দেখানো যেত। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, দৃশ্যটা যদি না দেখানো হয়, তাহলে দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কারণ আমার লাইফস্টাইল, আমার অবয়ব দর্শকরা ভালো করেই জানেন। তো হঠাৎ করে আমি স্ক্রিনে একটা সংলাপ বলে দিলেই কিন্তু সেটা বাস্তবসম্মত হবে না। যেহেতু এটা আমার রেগুলার ক্যারেক্টারের বাইরে। সেজন্য আমার মনে হয়েছে, দর্শকদের হৃদয়কে স্পর্শ করার জন্য দৃশ্যটা দেখানো জরুরি।’

নাটকটির একটি দৃশ্যে দেখা যায়, স্কুলে অন্য শিশুদের বাবা-মাও আসেন। তারা জোরালো আবেদন জানান, পরীকে (নাটকে ফারহানের কন্যা) স্কুলে রাখা যাবে না। ওই দৃশ্যে কেবল ফারহান নন, অন্য অভিভাবক চরিত্রে যারা ছিলেন, তারাও উতরে গেছেন দারুণভাবে। বিষয়টি নিয়ে ফারহান বলেন, ‘এটার সম্পূর্ণ অবদান বান্নাহ ভাইয়ের। তিনি এতোগুলো চরিত্র একসঙ্গে সামলেছেন, চরিত্রে ঢোকার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করেছেন। যার ফলে প্রত্যেকটা শিল্পী একেবারে গল্পের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। এটা সত্যিই ভালো লাগে, যখন দেখি সহশিল্পীরা সবাই চরিত্রের ভেতরে ঢুকে গেছেন। তখন নিজের ভেতর থেকেও একটা ভালো আউটপুট বেরিয়ে আসে।’

এখানেই শেষ নয়, গল্পের প্রয়োজনে এ নাটকের অধিকাংশ শুটিং হয়েছে উত্তরার একটি বস্তিতে। ফারহান বললেন, ‘পুরো জায়গাটি যথেষ্ঠ অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধযুক্ত ছিল। যেখানে বসে আমরা মেকআপ নিয়েছি, সেখানে একটি গরুর বাছুর বাঁধা ছিল। আবার আশেপাশে আরও অনেকগুলো গরু ছিল। দেখা গেল, কিছুক্ষণ পর বাছুরটি মলত্যাগ করছে, অন্য গরুগুলো ডাকাডাকি করছে। এছাড়া আমরা যেই বিছানায় বসে বা শুয়ে শট দিয়েছি, সেখানেও দুর্গন্ধ ছিল। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই আমরা শুটিং করেছি। ম্যানহলে নামার জন্য আমার ঘণ্টা দুয়েকের কষ্ট হয়েছিল। তবে পুরো নাটকটির জন্য গোটা দুই দিন কষ্ট করতে হয়েছে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।