৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন সেতু,পাঁচ বছরেও হয়নি সংস্কার।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শেখ আবদুল্লাহ আনোয়ারা(চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি ।

 

সেতুটিতে ওঠা-নামার জন্য ব্যবহার হয় বাঁশের সাঁকো । ২০১৫ সালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বৃষ্টি ও শঙ্খের জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায় উভয় পাশ থেকে মাটি সরে গেছে সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। এরপর থেকে সড়ক ও সেতুর কোনো সংস্কারের ছোঁয়াও লাগেনি।চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়ন অংশে দেড় কিলোমিটার ও জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ন অংশের আধা কিলোমিটার সড়কের দুই ইউনিয়নের মাঝামাঝি শাহ মোহছেন আউলিয়া খালের ওপর লাল মোহাম্মদিয়া সড়কে ভাঙা সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ ফুট।সড়ক ও সেতুর বেহাল দশায় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

 

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২০০৮ সালের দিকে বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদ সওদাগর দীঘিরপাড় থেকে খুরুস্কুল পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কটিতে ইট বিছানো হয় এবং ওই সড়কের সেতুটি পাকা করা হয়।

 

স্থানীয়রা জানান,এই দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এটি। ২০১৫ সালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সেতুটি ভেঙে পড়ে সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। বর্ষায় সেতুটির দুপাশের মাটি ভেঙে খালে বিলীন হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে সেতুতে ওঠানামার জন্য বাঁশের সাঁকো দিয়েছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে বেহাল হয়ে পড়েছে পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘের লাল মোহাম্মদিয়া সড়কটিও। সড়ক ও সেতুর বেহাল দর্শায় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকদেরও চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। অনেক বৃদ্ধরাও সেতুতে ভয়ে পার হতে পারে না। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দাদের।

 

সোয়াইফুর ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বৃষ্টি ও শঙ্খের জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায় সড়কের একমাত্র সেতুটির উভয় পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। এ কারণে সেতুটির ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। লোকজন যাতে চলাচল করতে পারে সে কারণে কয়েকজন মিলে দুপাশে বাঁশের সাঁকো করছি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দা। এ সড়ক ও সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

 

বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন,আনোয়ারায় সড়ক ও সেতু সংস্কারের টেন্ডার হলে এটাই প্রথম হবে।প্রকৌশলী সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।

 

উপজেলা প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন, লাল মোহাম্মদিয়া সড়ক ও সেতু চলাচলের অযোগ্য হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রথমে আছে সেতুটি।নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে সেতুটি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।