২৫শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১০ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বৃহস্পতিবার

যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরদার বাদশা ,নিজস্ব প্রতিনিধি।

 

ডুমুরিয়ার চুকনগর যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের

দুই পাশে, অবৈধভাবে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের স্টেট আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট অন্দিতা রায়। বলেন, যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের রাস্তা প্রসস্থ ও উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষে দু’মাস আগে সড়কের পাশে অবৈধ দখলদারদের তাদের স্থাপনাসমূহ সরিয়ে নিতে নোটিশ ও মাইর্কিং করা হয়। নির্ধারিত সময় শেষে আজ সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ যশোর, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ এইচ এম মাহমুদ হাসান, উপ-সহকারী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দলের উপস্থিতিতে ১টি বুলডোজার এবং বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ অভিযানে থানা পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস,খুলনা পল্লীবিদ্যুৎ সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার জনবহুল, ট্রানজিড, ব্যস্ততম এবং বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত চুকনগর বাজারের যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়ক এর রাস্তার দু’পাশের প্রায় ২০,৩০, ফুট পরিমান জমি স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধ ভাবে দখল করে। অন্তত ৪০টি এক তলা থেকে ২তলা পর্যন্ত পাঁকা ভবন নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি গড়ে তুলেছেন । এর ফলে রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় যান ও জনসাধারণের চলাচলে চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাসে সড়ক এবং জনপথ বিভাগ অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্ত কোন দখলদার স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় গতকাল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার অভিযান পরিচালিত হয়।

জনস্বার্থে ও ভবিষত্যের কথা চিন্তা করে সড়কটির দুই পাশে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অবৈধ সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতে মালিকদের নোটিশ করা হয়েছিল। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়ক জমি ভোগ দখল করে আসছে প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি। তারা অনেকে দোকান ঘর ও বসতবাড়ি তৈরী করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়ে আয় রোজগার করছেন। এতে করে এক দিকে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপর দিকে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। জনভোগান্তি নিরসন এবং সরকারি জায়গায় উদ্ধারের লক্ষে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।