মোঃ রিফাত পাটোয়ারী চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ঢাকা মিরপুরে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীর গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষন্ড স্বামী। গত ১২ আগস্ট বৃহস্প্রতিবার দুপুরে ঢাকার মিরপুর-১৩ নম্বরের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী কাউছার আহম্মেদ রাজন পলাতক রয়েছে।
ঘটনার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ধনারপাড় গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে কাউছার আহম্মেদ রাজন একই উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের মো. ওয়ালী উল্লাহ প্রধানের মেয়ে রিক্তা আক্তারকে ২০১৩ সালে ভালোবেসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকমাস পর উভয় পরিবার তাদের এ সর্ম্পক মেনে নেয়। তার পর থেকে কাউছার আহম্মেদ রাজন যৌতুকের জন্য রিক্তার উপর নির্যাতন শুরু করে। রাজন ঢাকার মিরপুর ১৩ নম্বরে একটি স্যানেটারি দোকানে চাকরী করতেন। গেল ৫ মাস আগে করোনার কারনে কাউছার আহম্মেদ রাজনের চাকরী চলে যায়। তার পর থেকে রিক্তা আক্তার সেলাই কাজ করে কোন রকম সংসার চালাতেন। এরই মাঝে রাজন বিদেশে যাবে বলে প্রায় সময় রিক্তাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রাজন রিক্তাকে মারধর করতেন।
আহত রিক্তার ছোট ভাই মো. আল আমিন জানান, ঘটনার দিন রিক্তা বাসায় একা একা সংসারের কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে রাজন বাসায় ঢুকে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই রিক্তাকে রান্নাঘর থেকে বেডরুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জোর করে হত্যার উদ্দেশ্যে রিক্তার গলায় ছুরি চালায়। পরে রিক্তা আত্মরক্ষায় ডাকচিৎকার দিলে একই ফ্লাটে সাবলেট থাকা লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গে রিক্তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা সরোওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় রিক্তার গলায় ৩৪টি সেলাই এবং দুই হাতে ৬টি সেলাই দেওয়া হয়। বর্তমানে রিক্তা আক্তার চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রিক্তা ও রাজনের সংসারে ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকা কাফরুল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে স্বামী কাউছার আহম্মেদ রাজন পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করা হয়েছে।
Leave a Reply