২৪শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৯ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

মতলবের গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য গলা কেটে হত্যার চেষ্টাঃপলাতক  স্বামী।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ রিফাত পাটোয়ারী চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

 

ঢাকা মিরপুরে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীর গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষন্ড স্বামী। গত ১২ আগস্ট বৃহস্প্রতিবার দুপুরে ঢাকার মিরপুর-১৩ নম্বরের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী কাউছার আহম্মেদ রাজন পলাতক রয়েছে।

 

ঘটনার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ধনারপাড় গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে কাউছার আহম্মেদ রাজন একই উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের মো. ওয়ালী উল্লাহ প্রধানের মেয়ে রিক্তা আক্তারকে ২০১৩ সালে ভালোবেসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকমাস পর উভয় পরিবার তাদের এ সর্ম্পক মেনে নেয়। তার পর থেকে কাউছার আহম্মেদ রাজন যৌতুকের জন্য রিক্তার উপর নির্যাতন শুরু করে। রাজন ঢাকার মিরপুর ১৩ নম্বরে একটি স্যানেটারি দোকানে চাকরী করতেন। গেল ৫ মাস আগে করোনার কারনে কাউছার আহম্মেদ রাজনের চাকরী চলে যায়। তার পর থেকে রিক্তা আক্তার সেলাই কাজ করে কোন রকম সংসার চালাতেন। এরই মাঝে রাজন বিদেশে যাবে বলে প্রায় সময় রিক্তাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রাজন রিক্তাকে মারধর করতেন।

 

আহত রিক্তার ছোট ভাই মো. আল আমিন জানান, ঘটনার দিন রিক্তা বাসায় একা একা সংসারের কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে রাজন বাসায় ঢুকে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই রিক্তাকে রান্নাঘর থেকে বেডরুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জোর করে হত্যার উদ্দেশ্যে রিক্তার গলায় ছুরি চালায়। পরে রিক্তা আত্মরক্ষায় ডাকচিৎকার দিলে একই ফ্লাটে সাবলেট থাকা লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গে রিক্তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা সরোওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় রিক্তার গলায় ৩৪টি সেলাই এবং দুই হাতে ৬টি সেলাই দেওয়া হয়। বর্তমানে রিক্তা আক্তার চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রিক্তা ও রাজনের সংসারে ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

 

এ ঘটনায় রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকা কাফরুল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে স্বামী কাউছার আহম্মেদ রাজন পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।