১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে শশ্মান ঘাটে নবনির্মিত কালী মন্দির ও সমাধিস্থল ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই নিউজ:দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে শশ্মান ঘাটে নবনির্মিত কালী মন্দির ও সমাধিস্থল ভাংচুর করেছে মোঃ আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এতে বাধা দেওয়ায় আহত ৭ জন।

বাংলাদেশে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার চৌরঙ্গী বাজারের নিকটবর্তী শশ্মানে আনুমানিক বিকেল ৫টায় নবনির্মিত কালী মন্দির ও শশ্মানে জায়গা দানকারী স্বর্গীয় কেশব চন্দ্র রায় বাবুর সমাধিস্থল ভাংচুর করে। ঘটনাটি ঘটিয়েছে একই গ্রামের মোঃ আবদুল্লাহ (বাচ্চু মিয়া) ও সহসপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শফিকুল আলম বাবুর নেত্রীত্বে। আনুমানিক দুই শতাধিক দুষ্কৃতিকারী এই হামলায় অংশ নিয়েছে। এতে
স্থানীয় জনতা বাধা দিতে গেলে সেই মুহূর্তে দুষ্কৃতিকারীরা নবনির্মিত মন্দিরের পাশে রাখা ইটপাটকেল গুলো জনসাধারণের দিকে ছুঁড়ে মারে। এতে ঘটনাস্থলেই একই এলাকার গন্ডিরাম রায়, পিতা ঝটুরাম রায়,শ্যামল রায়,মজেন রায়,হরিপদ রায়,নেতীশ চন্দ্র রায় সহ আরও দুই জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। তাদের
সেতাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়।

নবনির্মিত মন্দির ও সমাধিস্থল ভাংচুর শেষে ভাংচুরকারীরা চৌরঙ্গী বাজারের আল্লাহু আকবর,ধর ধর মালাউনরে ধর চিৎকার করে হিন্দু দোকান ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হামলা চালায়।

উল্লেখ্য সহসপুর মৌজার ১-২ খতিয়ান ৪৪৮ দাগের ৯১ শতক জমি বৃটিশ আমল ১৯৪০ সালে ও পাকিস্তান আমলে ১৯৬০ সালের রেকর্ডে শ্মশানের নামে রেকর্ড থাকলেও মোঃ আব্দুল্লা (বাচ্চু মিয়া) ১৯৭২-৭৩ সালে সাটিফেকেট খাস মামলায় তিনি বন্ধবস্ত করে নিজের নামে রেকর্ড ভুক্ত করে আবাদ করে এসেছিল দখলের মাধ্যমে।

চৌরঙ্গী মহা শ্মশান কমিটি ২০১৩তে মোঃ আব্দুল্লা(বাচ্চু মিয়া) নামে মামলা দায়ের করেন। আদালত শ্মশান কমিটির পক্ষে রায় দিলেও বাচ্চু মিয়া জমিটি ছারতে নারাজ।

এক পর্যায়ে বোচাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ইগলু ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার রায় বুলু শ্মশানের জমিটি উদ্ধার করে শ্মশান কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন এবং ইতিমধ্যেই স্বর্গীয় কেশব চন্দ্র রায় বাবুসহ কয়েক জনের সৎকার করা হয়েছে।

হিন্দু ধর্ম রীতি অনুযায়ী শ্মশান কমিটি একটি শ্মশান কালীর ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিলে মোঃ আব্দুল্লা (বাচ্চু মিয়া) মন্দির তৈরি না করানোর জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এজাহারুল হক ২৪/২/১৯ রবিবার তদন্তে এসে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাগজপত্র দেখে মন্দির তৈরির নির্দেশ প্রদান করেন।

অভিযোগ জানিয়ে কোনো ফল না পেয়ে আজ দূর থেকে মাস্তান ভাড়া করে এনে নবর্নিমিত মন্দির, সমাধিস্থল ভাংচুর ও বাজারের হিন্দু দোকানে হামলা চালিয়েছে!
এ ব্যাপারে বোচাগঞ্জ থানা ওসি আব্দুর রউফ মন্ডলকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,মুল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।