১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

আত্মহত্যাকারী চিকিৎসকের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্ত্রীর ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহের আত্মঘাতী চিকিৎসক মো. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে মিতুর বাবার বাসা থেকে তাকে আটক পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, মিতুর বিরুদ্ধে আকাশেকে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ছয়টার সময় নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডা. মো. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের অচেতন দেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

তারও পূর্বে বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৪টা ২৬ মিনিটে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেন ডা. আকাশ।

সেখানে স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর মঙ্গে পরিচয় এবং বিয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সাথে বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেন। স্ত্রীর সাথে অন্য একাধিক যুবকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি এবং মোবাইলে আদানপ্রদান করা কিছু টেক্সট মেসেজের স্ক্রিনশটও পোস্ট করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের একটি পোস্টের শেষের দিকে ডা. আকাশ লিখেছেন, ‘আমার শাশুড়ি এর জন্য দায়ী এসবের জন্য, মেয়েকে আধুনিক বানাচ্ছে। একটু বেশি বানিয়ে ফেলেছে। উনি চাইলে এখনো সমাধান হতো। ও মা তুমি মাফ করে দিও। তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না। মায়ের ভালবাসার কখনো তুলনা চলে না। বারবার বলছি ভালো না লাগলে আলাদা হয়ে যাও, চিট করো না, মিথ্যা বল না, বিশ্বাস ভেঙ না। হাজার হাজার ছবি আছে আরো খারাপ খারাপ। দিলাম না যারা বিলিভ করবে এতেই করবে, না করলে নাই।’

তিনি লিখেন, ‘ও আমাকে আর কি ভালবাসল? কিসের বিয়ে করল? আমি শেষ পর্যন্ত চাইছি সব চুপ রেখে সমাধান করে ওকে নিয়ে থাকতে। আমার শ্বশুড় আর শাশুড়িকে বারবার বলছি উনারা সমাধান করতে পারত! আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ। ৯টা বছর যাকে ১০০% ভালবেসেছি, ওকে প্ররোচনা দিয়েছে মইন, মিথি নামে দুই ফ্রেন্ড, ওর মা-বাবা আমাকে মানসিক কষ্ট দিয়ে মারছে।’

‘আমি এই বেইমানি মেনে নিতে পারি নাই। তারপরও ভুলে আমি সুন্দর সংসার করতে চাইছি আমার শাশুড়ি, শ্বশুড় আর বউ নামের কলংক করতে দিল না। আমাকে প্রতিনিয়ত প্রেশার দিয়ে গেছে আমার বউ। আমার মা’র নামে যা তা বলে গেছে। আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে চলে যাইতে বলছি ১০০ বার। আমি বোকা ছিলাম তুমি সুখে থেক। অনেকে ওর ফ্যান, বিলিভ করবে না আমি জানি। তবে এটাই সঠিক, মরার আগে কেউ মিথ্যা বলে না আর বাইরে থেকে মানুষের ভিতরের চেহারা বুঝা যায় না। ও সুন্দরী, পড়ায় ভালো, গান পারে সত্য কিন্তু ও ভালো অভিনেত্রী ভালো চিটার। যাদের ঈচ্ছা বিলিভ করেন যাদের ইচ্ছা নাই করবে না। তবে কাউকে ভালোবেসে চিটারগিরি করো না।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।