[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

কুলাউড়ায় আলহেরা ইসলামী যুব সংঘের ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কুলাউড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ

 

নিজ আঙিনা পরিস্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি ’ এ পতিপাদ্যে কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের সামাজিক সংগঠন আলহেরা ইসলামী যুব সংঘের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচার, লিফলেট বিতরণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান করা হয়।

 

৮ আগষ্ট রোববার দুপুর ১ ঘটিকায় সময়ে ভবানীপুর দারোগা বাড়ি কার্যালয় থেকে কার্যক্রম শুরু করে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক প্রচার লিফলেট বিতরণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান করা হয়।

 

উক্ত কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সম্ভব্য মেম্বার পদপ্রার্থী মো: সিরাজুল ইসলাম শায়েখ, আলহেরা ইসলামী যুব সংঘের প্রধান উপদেষ্টা মো: জাহিদ হোসেন রুবেল, কুলাউড়া সরকারি কলেজের প্রভাষক খালেদ আহমদ লাকী, আলহেরা ইসলামী যুব সংঘের সভাপতি মো: রেজাউল ইসলাম শাফি, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক ছামিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ছাদিক হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক সেবুল আহমদ, সাহিত্য সম্পাদক মো: রাজিন সালেহ, ক্রীড়া সম্পাদক নাঈম আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদী হোসেন চৌধুরী, প্রমুখ।

 

 

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার এই সময়টাতে ডেঙ্গুর সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে হুশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই চার মাস মূল মৌসুম। কয়েক দিনের থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টি এডিস মশার বংশবিস্তারে প্রভাব ফেলছে। করোনা আর ডেঙ্গুর উপসর্গ কাছাকাছি হওয়ায় জ্বর হলে বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্ষাকাল এলেই বাড়ে ডেঙ্গুর উপদ্রব। তাই বছরের অন্য সময়ে চেয়ে এ সময়ে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বর হয়ে থাকে। বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতা ও বাতাসে অত্যধিক আর্দ্রতা এ মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক।

পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দ্রব্যাদি, গাড়ির চাকার টায়ার, বাড়ির পানি সংগ্রহের ট্যাংক, ফুলের টব ও ফুলদানিতে জমে থাকা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এদের ডিম ফোটার জন্য পানির প্রয়োজন হয় বলে শুকনো মৌসুমে এ মশা কমে যায়। তাই বাড়ি ও তার চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।

 

এই জ্বরের বিশেষ কোনো উপসর্গ নেই। জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের কোঠরে ব্যথা, মাংসপেশি ও শিরায় ব্যথা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল দানা বা র্যাযশ ওঠা ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ।

দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার বা রিপিলেন্ট স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

পূর্ণ বিশ্রাম ও জ্বর থাকলে দিনে সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে হবে। এ ছাড়া বেশি করে পানি ও পানীয় এবং স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে। জ্বর ভালো হলে তিন দিন প্লাটিলেট কাউন্ট ও হেমাটাক্রিট করিয়ে চিকিৎসকে দেখাতে হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *