[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

কয়রায় কাউন চাষাবাদে সফল চাষী প্রভাষক শাহাবাজ আলী।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা,খুলনাঃ
কয়রা উপজেলার মহারাজপুরে কাউন চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কাউন চাষী প্রভাষক শাহাবাজ আলী। তার ক্ষেতে কাউন গাছে এখন দৃষ্টিনন্দন অসংখ্য ফল ঝুলছে।
সম্প্রতি তিনি মহারাজপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামে তার নিজ ১ বিঘা জমিতে কাউন চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন। আমাদী খান সাহেব কােমর উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শাহবাজ আলী বলেন, ছােট বেলা থেকেই ব্যতিক্রম কিছু করার ইছা ছিল। ইন্টারনেটের বদৌলতে ইউটিউবে ভিডিও দেখে, কৃষিবিদদের বই পড়ে এবং কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কৃষি উদ্যােক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর ধরে বিভিন্ন জাতের আম, আনারস সহ শিম, ঢেড়শ, পুইশাক, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ ও ধান চাষ করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি কিছুদিন আগে কলেজ শিক্ষক হিসেবে শিম চাষ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
এবার সরেজমিন কৃষি গবেষণা বিভাগের পরামর্শে ব্যতিক্রমধর্মী ফসল কাউন চাষ করতে পেরে নিজেই খুশি। কাউন চাষী প্রভাষক শাহাবাজ আলী আরও বলেন, আমাদের এই উপকূলীয় এলাকা লবণাক্ত জমিতে ফসল চাষ করে লাভবান হওয়া খুবই কষ্টকর। দিনরাত পরিশ্রম করে তারপর লাভের মুখ দেখা যায়। এ কারণে আমি এবার কাউনের চাষ করি। পরিশ্রম কম, খরচ খুবই কম এবং কাউন চাষে লাভও বেশি। খরচের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সরেজমিন কৃষি বিভাগ বীজ সার দিয়েছেন আমার শুধু চাষ খরচ এক বিঘায় ১ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে কাউন উৎপাদন হবে প্রায় ৬ থেকে ৭ মন। যার প্রতি কেজির মূল্য ৮০ থেকে ১ শ টাকা। সরেজমিন কৃষি গবেষনা বিভাগের এমএলটি সাইট কয়রার বৈজ্ঞানিক সহকারী জাহিদ হাসান বলেন, এবছর আমরা বারি কাউন ২ চাষের জন্য বীজ দিয়েছিলাম। এটি অল্প খরচে পতিত জমিতে লাভজনক ফসল।
কাউন সম্পর্কে খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মােঃ হারুনর রশিদ বলেন, কাউনের চাল আমাদের অনেকের পরিচিত একটি শস্য। বিজ্ঞানীরা এই কাউনের চালকে একটি অন্যতম সুপারফুড হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কারণ ছােট দানাবিশিষ্ট কাউনের চালে আছে প্রােটিন, ফাইবার, এ্যান্টি -অক্সিডেন্ট সহ অনেক কিছু উপকারী পুষ্টি উপাদান যা আমাদের রক্তে মিশে থাকা এলডিএল বা খারাপ কােলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কাউনের চালে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং কাউনের চালে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ থাকায় কােষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতে ভিটামিন সি রয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *