[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

রংপুরের আলু যাচ্ছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কায়।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ।
রংপুর অঞ্চলের আলু মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা যাচ্ছে। গ্রানোলাসহ আরও তিন জাতের আলু বিদেশে যাওয়ায় আলুর দাম নিয়ে এই দুঃসময়ে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

আলুর কৃষকের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যই বিদেশে আলু রপ্তানিতে কৃষক এবং রপ্তানিকারকদের আশান্বিত করেছে। এরই মধ্যে এ অঞ্চল থেকে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া বিএডিসিও এবছর আলু রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর কিছুদিন পরে আলু উত্তোলন হলে তারা সরাসরি বিদেশে পাঠাবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিএডিসি’র কর্মকর্তা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাসওয়া এগ্রো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হোসেন জানান, তিনি চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কায় গ্রানোলাসহ অন্য কয়েকটি জাতের আলু পাঠাতে শুরু করেছেন। তিনি এ পর্যন্ত ২ হাজার মেটিক টন আলু পাঠিয়েছেন। পুরোপুরি আলুর মৌসুম শুরু হলে আরও পাঠাবেন। তিনি জানান, রংপুর হতে ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যবসায়ী মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কায় এই তিনদেশে আলু পাঠাতে শুরু করেছেন। এপর্যন্ত প্রত্যেক ব্যবসায়ী গড়ে এক হাজার মেটিক টন করে আলু পাঠিয়েছেন। মৌসুম শুরু হলে আরও আলু পাঠানো হবে।
এসব আলু দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশি চিপস কোম্পানীগুলো রপ্তানিকৃত আলু কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। রংপুর ছাড়াও চট্টগ্রাম, বগুড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলু রপ্তানি করে আসছেন। চাহিদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন আলু রপ্তানি করা গেলে এবছর কয়েক’শ কোটি টাকা বৈদেশিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র

সূত্র মতে, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চূড়ান্ত আলাপের পর রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ আশপাশের জেলা থেকে আলু ক্রয় করে প্যাকেটে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে তা পাঠানো হয়ে থাকে।

রংপুর বিএডিসি উপ-পরিচালক (আলু) আব্দুল হাই জানান, রংপুর, ঠাকুরগাঁও ও জয়পুরহাট জেলা থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা বিদেশে গ্রানোলা, বারি-৭ , ইউবিটা জাতীয় আলু রপ্তানি করতে শুরু করেছেন। বিএডিসি এবার মলয়েশিয়ায় আলু পাঠাবে। এ লক্ষ্যে অন্যন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি জানান, গত বছর বিএডিসি বিদেশে আলু পাঠিয়েছিল। আলুর মান ভাল থাকায় এবারও বিদেশের বাজারে রংপুরের আলুর চাহিদা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর অঞ্চলে আলুর আবাদ হয়েছে ৯৭ হাজার হেক্টরে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন ধরা হয়েছে ১৮ মেট্রিক টনের ওপরে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *