[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

লালমনিরহাটে খেলার মাঠে মাসব্যাপী পুনাক শিল্প পণ্য মেলা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

লালমনিরহাট জেলা শহরের শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার এক প্রাণকেন্দ্র শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দী রেলওয়ে খেলার মাঠ। কিন্তু মাঠটিতে বুধবার (১২ জানুয়ারি) থেকে কোনো খেলাধুলা নেই। উল্টো মাঠ খোঁড়াখুঁড়ি করে মাসব্যাপী পুনাক শিল্প পণ্য মেলা-২০২২ চলছে।

লালমনিরহাট ডিভিশনাল রেলওয়ে আবাসিক এলাকায় এই মাঠে মাসব্যাপী পুনাক শিল্প পণ্য মেলা বসানোর অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। আর খেলার মাঠ মোটা টাকায় মেলার জন্য ভাড়া দিয়েছে লালমনিরহাট ডিভিশনাল রেলওয়ে কার্যালয়।

স্থানীয়রা বলছেন, খেলার মাঠে মাসব্যাপী পুনাক শিল্প পণ্য মেলা বসানোর কারণে শুধু আবাসিক এলাকার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে না, খোঁড়াখুঁড়ির কারণে মাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মেলা শেষ হওয়ার পরও এটি খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

এই মেলার আয়োজক পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), লালমনিরহাট।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) মাসব্যাপী পুনাক শিল্প পণ্য মেলা-২০২২ এর আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন হয়।

পর্যালোচনা করে জানা গেছে, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০-এর ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, খেলার মাঠ অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করা যাবে না৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি অনধিক ৫ বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন মর্মে বিধান আছে।

জানা গেছে, মাসব্যাপী পুনাক শিল্প পণ্য মেলার জন্য বুধবার (১২ জানুয়ারি) থেকে শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দী রেলওয়ে খেলার মাঠে স্টল, ফটক, কৃত্রিম ফোয়ারা, টাওয়ার ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ খোঁড়াখুঁড়ি করে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে সব ধরনের খেলাধুলা ও অনুশীলন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের সিংহভাগ অংশজুড়ে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। প্যান্ডেলের চারপাশ টিন দিয়ে ঘিরে স্টল বানানো হয়েছে। মাঠের ভেতরেও আছে বেশ কিছু স্টল। মাঠের একদিকে চরকি, দোলনা, নাগরদোলা, মটর সাইকেলসহ নানা রাইড স্থাপন করা হয়েছে। মেলার প্রবেশমুখে ইট দিয়ে স্থায়ী অবকাঠামোর মতো স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে এ মেলায়। এছাড়াও আবাসিক এলাকা ঘেঁষে মাসব্যাপী এই মেলা চলছে।

চিকিৎসকরা বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখনো শতভাগ স্বাভাবিক হয়নি। জনসমাগম এড়িয়ে চলাফেরার জন্য মানুষজনকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অথচ জেলা পুলিশ স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মানছে না। তারা মাসব্যাপী মেলা আয়োজন করছে।

খেলোয়াড়রা বলছেন, ঐতিহ্যবাহী এই খেলার মাঠে যুগ যুগ ধরে খেলাধুলা ও চর্চা করে আসছেন খেলোয়াড়রা। শহরের ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলায় ভরসাও এই মাঠ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *