নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মেহেদী হাসান,শার্শা প্রতিনিধি,
টানা বৃষ্টিতে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা বৃষ্টির পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন। প্রধান রোপা আমন ধানসহ, মসুরি, রবি সরিষা, রসুন ও পেয়াজ টানা বর্ষণের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির ক্ষেতও।
এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শার্শা উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক। বৃষ্টির কারণে অতিরিক্ত মজুরি খরচ করে ফসল বাঁচাতে হচ্ছে কৃষকের । তারপরও মিলছে না শ্রমিক। অনেক এলাকায় আবার শ্রমিক-সংকটে ধান পঁচে যাচ্ছে মাঠেই।
শার্শা উপজেলার কৃষি অফিসার ইকরামুল ইসলাম বলেন , এবার শার্শা উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২৮৫০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শার্শা উপজেলা বনমান্দার মাঠ,কন্দর্পপুর মাঠ, কাশিপুরসহ , বিভিন্ন এলাকায় মাঠে দেখা যায় বৃষ্টির পানিতে ভাসছে ধান । সাগরের লঘু চাপের ফলে সারাদেশে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে আকাশ কিছুটা মেঘলা ঘন কুয়াশাছন্ন চার ডিসেম্বর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয় ৫ও৬ ডিসেম্বর থেকে ভারীবর্ষণ হয়, আর তাতেই মাঠে পানি জমতে শুরু করে।
কৃষকেরা তাদের পাকা ধান কাটার শেষ মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু তারা এখন চিন্তিত, কীভাবে সারা বছরের খাবার ঘরে তুলবেন? এ বছর এক বিঘা জমিতে আমন ধান করতে সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে শ্রমিক খরচ আরও প্রায় ৩ হাজার টাকা বেড়ে ১৫ হাজারে । আবার গো-খাদ্য বা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার্য বিচালি বা খড় পচে যাওয়ায় ক্ষতি আরও বেড়েছে অনেকটা। অনেকে বাড়তি পারিশশ্রমিক দিয়ে পানি থেকে বিচালির আশায় ধান তুলছেন বৃষ্টিতে ভিজে
কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, সাধারণত ৩৩ শতকে এক বিঘা জমিতে ২০থেকে ২৫ মণ হারে ফলন হয়। সেখানে বৃষ্টির কারণে পানিতে ডুবে যাওয়ায় ধান ঝরবে ধানের রং নষ্ট হয়ে যাবে। আবার বিচালিও পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষক আয়ূব জানান, হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের কাটা ধানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। আবার বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করার মত শ্রমিক মেলানো দায়, সময়মতো শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না বৃষ্টির কারণে।
Leave a Reply