[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

গজারিয়া হাতুড়ি পেটায় আহত মিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ দিন পর মৃত্যু।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ওসমান গনি গজারিয়া প্রতিনিধিঃ

মুন্সিগঞ্জর গজারিয়া উপজেলায় হোসেন্দী ইউনিয়ন নির্বাচনী প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাতুড়ি পেটায় আহত যুবক মিম ৯ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানির চর পূর্বপাড়া আব্দুস সাত্তারের ছেলে মীমকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে একই এলাকায় একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল কক্ষে বেঁধে ১০/ ১৫ জন হাতুড়ি পেটা করেছে একই গ্রামের আতাউর গ্রুপ সন্ত্রাসী দল।

ঘটনার পর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৯ দিন পর যুবক মিমের মৃত্যু হয়। মিম এর মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় বাবা-মা, ভাই-বোন সহ স্বজনদের আহাজারি কান্নায়, ভারি হয়ে ওঠেছে।

নিহত মিমের বড় বোন লতা ইসলাম, জানান ইসমানির চর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আতাউর এর নেতৃত্বে সংগ্রাম, আলী হোসেন ,নিঝুম ,শুভ ও রাজুসহ ১০/ ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমার ভাই মীমকে হত্যা উদ্দেশ্যে মারতে থাকে, মিমের আর্তচিৎকারে কিছু লোকজন মিমকে উদ্ধার করে।সংগ্রাম সকাল সাড়ে দশটায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে স্কুল কক্ষে হাত-পা বেঁধে সন্ত্রাসী দলটি আমার ভাইকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথার মগজ বের করে ফেলেছে । পায়ের হাড় ভেঙ্গে গুড়ো করে দিয়েছে। ৯ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে মৃত্যু হল ভাই মিমের। নিহত মিমের উদ্ধারকারী এবং একাধিক ব্যক্তির মধ্যে সন্ত্রাসী গ্রুপের হামলার আতঙ্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, জানান আতাউর সন্ত্রাসী গ্রুপের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়দাতা একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একটি পরিবার। প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হয়ে হোসেনন্দি ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অতীত ও আজকে পর্যন্ত ঘটে আসছে একাধিক হত্যাকাণ্ডে

নিহত হয়েছে হানিফ, আরমান, ইসমানির চর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মিম।

 

এবিষয়ে গজারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রইছ উদ্দিন জানান আহত মিম মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নাই। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *