[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে চলাচল” কর্তৃপক্ষের অবহেলা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিন হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে টুকা মিয়া চাপরাশি ঈদ গাহ জামে মসজিদের উত্তর পাশে (সহিদ খোনারের বাড়ী দিকে যাওয়ার পথ দিয়ে)এ কাঠের ব্রিজ দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে। এতে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগে পড়ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আগত হাজারো স্থানীয় এলাকাবাসি।

কাঠের ব্রিজের বেহাল অবস্থা, কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের কাঠের পেরাগ উঠে গিয়ে পাখায় পড়ে আছে। অন্ধকার রাতে এই ব্রিজ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বয়স্ক লোকদের জন্য এই কাঠের ব্রিজ দিয়ে হাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। হামছাদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই ব্রিজ। প্রতিনিয়ত পঃ গোপীনাথপুরের প্রায় ৪/৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

 

বিশেষ করে দালাল বাজার এন কে উচ্চ বিদ্যালয়, দালাল বাজার ফাতেমা বালিকা, গাউসুল আজম ইসলামিয়া তাহেরিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও দালাল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বেশ ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

 

পৌর ১৩,১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর রাহিমা বেগম বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে আমার বাবার বাড়ি যেতে হয়। ব্রিজটি যদি আমার নির্বাচনী এলাকা পড়তো, তাহলে আমি চেষ্টা করতাম। এ ব্রিজ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। যত ভোগান্তি সব চলাচলকারীদের। অথচ এই কাঠের ব্রিজ দিয়ে চারটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার লোকজন আসা-যাওয়া করেন। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে একাধিকবার অবগত করলেও মেলেনি কোনো সাড়া।

 

টুকামিয়া চাপরাশি ঈদ গাহ জামে মসজিদের ইমাম বলেন, ব্রিজটির দুর্দশা ও বেহাল অবস্থার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের। একটু বৃষ্টি হলেই ব্রিজ দিয়ে হাঁটার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।

 

এবিষয়ে দক্ষিন হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম জানান,ভাঙা কাঠের ব্রিজ এর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিশেষ করে বিভিন্ন অফিসগামী ব্যক্তি ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

ব্রিজটির জন্য আনোয়ার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম স্যারের কাছে আবেদন করেছে। আমি ঐ আবেদনের মধ্যে সুপারিশের মাধ্যমে অনুরোধ করেছি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *