[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ১০ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি পড়ে আছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এ রশীদ, সিলেট থেকে।

 

সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ১০ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে, এসব যন্ত্রপাতির কোন কার্টন বা বক্স এখন পর্যন্ত খোলাই হয়নি।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের দেয়া অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপির সাথে আলাপকালে এমন বিস্ময়কর তথ্য জানিয়েছেন সিলেট ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার।

তিনি আরো জানান, টেকনিশিয়ান সংকটের কারণে এই সব যন্ত্রপাতি ছুয়েও দেখা হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি ওসমানী হাসপাতালের পরিচালকের এমন বক্তব্য শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনাবেন আর এগুলো এভাবে পড়ে থাকবে বছরের পর বছর? মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবেনা? এটা আমি ভাবতে পারিনা।

 

‘ওসমানীতে পড়ে আছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া সেই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স’ কোটি টাকারও বেশি মুল্যের এই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স বছর খানেক ধরে পড়ে ছিলো অব্যবহৃত অবস্থায়।

এটি ব্যবহার না করার যে কারণ বলছেন কর্তৃপক্ষ তা হাস্যকর। ব্যবহারের গাইডলাইন বা নির্দেশনাই দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদফতর সেজন্য এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

ভারত সরকারের দেয়া অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়টির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার এবং টেকনিশিয়ান না থাকার অজুহাতে এক বছর পরিত্যাক্ত গাড়ির সাথে ফেলে রাখা হয়েছিলো, এ ধরনের কাজ কোন অবস্থায় বরদাস্ত করা হবে না। এইসব অ্যাম্বুলেন্স এবং সরকারের দেয়া সকল ইকুইপমেন্ট জনকল্যানে ব্যবহার করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নজর রাখার আহ্বান জানান।

 

অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদায়ের আগ মুহূর্তে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান টেকনিশিয়ান সংকটের কারণে ১০ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *