[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ সিলেট নগরবাসী, উদাসীন সিসিক কর্তৃপক্ষ : আসাদ উদ্দিন আহমদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এ রশীদ বিশেষ প্রতিনিধি।

 

 

মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে এবং এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রাক্তন প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ।

 

গণমাধ্যমে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন- মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সিলেট নগরবাসীর জনজীবন। রাত্রে তো বটেই, দিনেও মশার আক্রমণ থেকে তারা রক্ষা পাচ্ছে না। দিনের বেলায়ও অনেকে মশারী টানিয়ে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে সর্বত্র মশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কোথাও স্বস্তিতে কাজ করতে পারছেন না মানু্ষ।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মশা নিধনে সিলেট সিটি করপোরেশনের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। পাড়া-মহল্লায় মাঝে মাঝে বিকট শব্দের ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটানো হলেও শব্দ দূষণ ব্যতীত তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না। মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস না করে এভাবে ধোঁয়া দিয়ে মশা নিধন করা যে সম্ভব নয়, তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া যেসব ওষুধ ছিটানো হয়, তাতে ভেজাল রয়েছে বলেও বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে।অথচ সিটি করপোরেশনে মশা নিধনের জন্য বিরাট অংকের টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এসব অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার বিষয়টি নিয়েও বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে যে কোনো লাভ হয়নি বা হচ্ছে না, তা মশা নিধন কার্যক্রমে শৈথিল্য থেকে বোঝা যাচ্ছে। ফলে, সিলেট নগরবাসীর জনজীবনে অন্যান্য সমস্যার মধ্যে এটিও এখন একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কাজ। কিন্তু ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার পরিবর্তে অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে। শীতের সময় সাধারণত মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। এ সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মশার উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত ড্রেন, নর্দমা ও জলাশয়গুলোতে পানিধারা থাকে না। নোংরা পানি জমে থাকায় তা মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ বিষয়টি সকলেরই জানা। এ সময় যদি এগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচল রাখা হয়, তবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন এ কাজটি করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। যখনই মশার উৎপাত নিয়ে লেখালেখি হয়, তখন তারা জেগে উঠে। ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করে। কিছুদিন এ কার্যক্রম চলার পর থেমে যায়।বিবৃতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে সিসিক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় হতাশা ব্যক্ত করে অনতিবিলম্বে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *