[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

বিয়ানীবাজারে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এ রশীদ বিশেষ প্রতিনিধিঃঃ

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে পাড়ার অলিগলি এখন ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে। বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলছে বিরামহীন মাইকিং। প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময়ও করছেন তারা। হাটে-বাজারে রাস্তা-ঘাটে চায়ের দোকানে প্রার্থীদের নিয়ে চলছে আলোচনা-সমলোচলার ঝড়।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৪৭জন চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৭১জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন।

সোমবার দুপুরে শেওলা ইউনিয়নের চারাবই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিন ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। ইউনিয়নের সব চেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙ্গন রোধে বড় কয়েকটি কাজ করেছি। তবে কিছু অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্যই আবার প্রার্থী হয়েছি। জনগণ নির্বাচিত করলে সেসব কাজ শেষ করব।’

স্বতন্ত্র আরেক প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আখতার হোসেন খান জাহেদ শেওলা ইউনিয়নের দিগলবাগ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়
ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা করছেন। এ সময় তিনি ভোটরদের প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার বড় সমস্যাগুলো আগে সমাধান করবেন। পাশাপাশি ঘুষ ছাড়া ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এ ছাড়াও তার নিজ উদ্যোগে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার ব্যাক্তি উদ্যোগে একটি এম্বুলেন্স প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।এবং শেওলা ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন রোধে সর্ব প্রথম পদক্ষেপ নিবেন।

এদিকে মাথিউরা ইউনিয়নের নৌকার মনোনীত প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমান উদ্দিন জানান, তিনি ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। নির্বাচিত হলে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।

সরেজমিনে কয়েকটি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা দল বেঁধে প্রচার প্রারণার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকা সরগরম করে তুলছেন। তারা অটোরিকশা, ইজিবাইকে মাইক বেঁধে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি মসজিদ, হাসপাতালের নিকটও মাইক বাজিয়ে প্রার্থীদের যোগ্যতা ও আদর্শের কথা বলছেন।

কুড়ার বাজার ইউনিয়নের আকাখাজানা এলাকার ভোটার সাংবাদিক রাজু আহমদ জানান, ভোট এলে প্রার্থীদের আনা-গোনার কমতি থাকে না। ভোট শেষ হলেই তাদের দেখা পাওয়া যায় না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে সে মোতাবেক কাজ করে না। তারা নির্বাচনের পর সব ভুলে যান। উন্নয়নের বদলে তারা নিজের আখের ঘোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহও আছে। তবে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে কোনো আর্থিক লেনদেন বা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *