[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ভুট্টো সিকদারকে বিদ্রোহী প্রার্থী বানিয়ে ‘মনোনয়ন বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নুরুল বশর মহেশখালী কক্সবাজার ।

 

আমি আবুল কাশেম ভুট্টো সিকদার (একে ভুট্টো সিকদার) বর্তমানে বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত। প্রতিবেদনটিতে আমাকে ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বা নৌকা প্রতীকের জন্য আমি তখন কোনো আবেদনই করিনি। নৌকা প্রতীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন ও বর্তমান সভাপতি নূরে হোছাইন আরিফ দলীয় প্রার্থী থাকায় প্রতীক বরাদ্দের পর দলীয় শৃঙ্খলা মেনে পোস্টার-লিফলেট ছাপা বা কোনো ধরণের নির্বাচনী জনসংযোগই করিনি। তাহলে কীভাবে ওই প্রতিবেদনে আমাকে ওই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী বলে উল্লেখ করে? অথচ গতবারের মতো এবারও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে দলীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এমন অগ্রীম একতরফা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপ্রচার করা হচ্ছে।

 

দৈনিক কক্সবাজারের এই প্রতিবেদনটি যেন জনপ্রিয়তার তলানীতে থাকা নূরে হোছাইন আরিফকে আগাম ও খালি মাঠে গোল করিয়ে ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাইয়ে দেওয়ার একটি মিথ্যা হীন অপচেষ্টা মাত্র। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ২০১৬ সালে বদরখালীতে ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই প্রতিবেদনটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী বলে উল্লেখ করা বাকি ৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা খাইরুল বশর আনারস প্রতীকে ৪২১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর আ. ন.ম হেফাজ সিকদার চশমা প্রতীকে ৪১৬৭ ভোটে দ্বিতীয়, বিএনপি প্রার্থী আহসানুল কাদের চৌধুরী সাব্বির ধানের শীষ প্রতীকে ২৬৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং আওয়ামী লীগের অপর নেতা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মোটর সাইকেল প্রতীকে ২১০১ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে থাকেন। আর জনপ্রিয়তার তলানীতে থাকা এবং তখনকার সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ও তৎকালীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরে হোছাইন আরিফ দল ক্ষমতায় থাকা সত্বেও নৌকা প্রতীকে মাত্র ১৭৭৯ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবার শেষে থাকেন। আর ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আমি ফরম সংগ্রহ করলেও পরবর্তীতে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ওই নির্বাচনে আমার কোনো ধরণের নির্বাচনী কার্যক্রম আর কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকা সত্বেও আমার দলীয় গ্রহণযোগ্যতা এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সেখানে আমার নাম জড়িয়ে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ বানানোর অপচেষ্টা নেহায়েতই অবান্তর। এবার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলে মনোনয়নের জন্য আবেদন বা দলীয় কেন্দ্রীয় বোর্ডের সিন্ধান্তের আগেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ হিসেবে ‘মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছে’ এমন আগাম ঘোষণা ও অপপ্রচার দুঃখজনক। কিন্তু জনপ্রিয়তা না থাকুক, যেকোনো মূল্যে চেয়ারম্যান আমিই হব’ -এমন নীতিতে বিশ্বাসী আরিফের পক্ষে এমন প্রতিবেদন ছাপার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। এলাকায় আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি এবং সমবায়ী ইউনিয়ন বদরখালীর প্রায় শতাব্দীকালের ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির স্থানীয় রাজনীতির জন্য কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তাই সাংবাদিকতার নূন্যতম নীতি না মেনে করা ওই মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনটি আমি প্রতিবাদসহ প্রত্যাখ্যান করছি।

 

উল্লেখ্য ২০১৬ সালের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ডামী প্রার্থী হয়ে ছিলেন আবুল কাশেম ভুট্টো সিকদার।

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *