[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

বগুড়ার শেরপুরে সরকারি বিনা মূল্যের বই কেজি দরে বিক্রি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খানপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত মাধ্যমিক স্তরের বই ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুর রশিদ এবং লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক মোঃ গোলাপ মন্ডল বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

অভিযোগে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে দপ্তরী আব্দুর রশিদ এবং লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক মোঃ গোলাপ মন্ডল অত্র বিদ্যালয়ের অস্থায়ী নৈশপ্রহরী মোঃ মনির আলীকে ভোররাতে ঘুম থেকে জেগে তুলে, বিনামূল্যে সরকারি বইগুলো বস্তায় প্যাকেট করতে বলেন। মনির আলী বইগুলো বস্তাভর্তি করতে অপারগতা জানালে, আব্দুর রশিদ এবং গোলাপ মন্ডল নানা রকম ভয়-ভীতি দেখায়। নৈশ প্রহরী মনির আলী বাধ্য হয়ে দপ্তরী আব্দুর রশিদ এবং লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক গোলাপ মণ্ডলের সঙ্গে বইগুলো বস্তাভর্তি করে। বইগুলো বস্তাভর্তি করে নৈশ্য প্রহরী মনির আলীর অটো ভ্যান করেই মির্জাপুর বাজার নামক বিশ্বরোড সংলগ্ন পূর্ব পাশে জুয়েলের ভাংড়ি দোকানে বিক্রি করেন।

 

এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী মনির সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সরকারি বই গুলো বিক্রি করার জন্য দপ্তরী এবং শিক্ষককে নিষেধ করেছিলাম, তারা আমাকে স্কুল থেকে বের করে দিবে এবং চোরের অপবাদ দিবে, এ রকম নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে, আমার ভ্যানে করেই মির্জাপুর জুয়েলের ভাংড়ি দোকানে নিয়ে গিয়ে বড় বস্তার ০৫ বস্তা বই বিক্রি করেছেন। শুধু সরকারি বই না, বিদ্যালয়ের অনেক ঢেউটিন এবং সিমেন্টের খুঁটি বিক্রি করেছেন এবং কিছু সিমেন্টের খুঁটি আব্দুর রশিদ তার বাসায় ঘর তৈরীর কাজে ব্যবহার করেছেন।

 

মনির আলী আরো বলেন সরকারি বই এবং বিদ্যালয়ের ঢেউটিন সিমেন্টের খুঁটি চুরি করে বিক্রি করা অবৈধ জেনে দুজন ব্যক্তি কে অবগত করে সাক্ষী করি।

 

এদিকে বই বিক্রি করার কথা আব্দুর রশিদকে বললে, তিনি অস্বীকার করেন।

এবং বই বিক্রির তথ্য প্রকাশ করায় দপ্তরী আব্দুর রশিদ এবং লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক গোলাপ মন্ডল নৈশ প্রহরী মনির আলীকে কোয়েরখালি বাজারে ডেকে নিয়ে নানারকম ভয়-ভীতি দেখান এবং তিন মাস ধরে তিনি বিদ্যালয় পাহারা দেননি বলে সবাইকে বলতে বলেন। বই বিক্রি করার বিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং অস্বীকার করেন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন বিদ্যালয় থেকে বই বিক্রি করা যাবে না তবে উপজেলা গঠিত একটি কমিটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে বই গুলো বিক্রি করতে পারে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন বই বিক্রি করার অভিযোগ পেলে অবশ্যই এর যথাযথ ব্যবস্থা নিব।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *