[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

পটুয়াখালীর নন্দীপাড়া বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ ছেড়ে দিয়ে ভূমিহীন মোশারেফ মানবেতর জীবন যাপন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ আজিজুল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

 

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের ভূমিহীন মোশারেফ কাজী(৬২)নামের এক ভূমিহীন বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ ছেড়ে দিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করেছেন এমনটাই দেখা মেলে।

 

 

সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে জানাযায়, মোসারেফ কাজী ঐ গ্রামের মৃত, দলিল উদ্দিন কাজীর পুএ।গ্রামে থাকার জায়গা না থাকায় দীর্ঘ দিন পরিবার পরিজন নিয়ে অদুূর চট্টগ্রাম বন্দরে থাকতেন এবং সেখানে গার্মেন্টসে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

 

মহামারী করোনায় চাকুরী চলে গেলে গ্রামে চলে আসেন মোসারেফ। থাকার জন্য জায়গা না পাওয়ায় গ্রামের ৭১নং নন্দীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যাক্ত কক্ষে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য থাকতে দিয়েছিল বিদ্যালয়ের ম্যানেজীংকমিটি।

 

গত ১২ই আগস্ট সরকারী নির্দেশনায় বিদ্যালয় খুললে তিনি অন্যএ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন ইতোমধ্যে গত ১৬ই অগাস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং দু একটি পএিকায় “বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ দখল করে বসবাস” শীর্ষক সংবাদটি প্রচার হয়। এ ঘটনা এবং সংবাদ এর সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিনে গত রোববার সকালে উক্ত বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায় করনা কালীন সময়ে বিদ্যালয়ে অবস্থানকারী মোশাররফ কাজী বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত কক্ষ ছেড়ে দিয়ে বিদ্যালয়ের সামনেই রাস্তার পাশে একটি ভাংঙ্গাশোরা পুরাতন দোকান ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে এবং বর্তমানে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।

 

বিদ্যালয়ে অবস্থান সম্পর্কে ভূমিহীন মোশারেফ কাজীর বিষয় জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠ ও দৈনিক বরিশাল সমাচার প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়ে বলেন, ম্যানেজীং কমিটির সিদ্ধান্ত, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিক ভাবে অবহিত করে ভূমিহীন মোশারেফ কাজী’কে সাময়িক সময়ের জন্য বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে থাকতে দিয়েছিলাম।

 

এ সময় তিনি আরো বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে বর্তমানে নাইট গার্ড নাই রাতের পাহাড়াও হবে তাছারা বিদ্যালয়ে অবস্থান কারীর পৈত্রিক সম্পত্তিতে ৫১ শতাংস জমির ওপর এই বিদ্যালয়টি অবস্থিত। তাই মানবিক কারনে থাকতে দেয়া হয়েছে বলে জানান।

 

এ বিষয়,বিদ্যালয়ের ম্যানেজীং কমিটির সভাপতি মোসাঃ রাজিয়া বেগম বলেন, মোশাররফ কাজী প্রকৃত একজন ভূমিহীন।তাই পৈত্রিক খালি ভিটা ছাড়া তার থাকার কোন জায়গা নেই এবং আমাদের বিদ্যালয়ে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দান করা হয়েছে।শুনেছি সে সরকারি একটি ঘর বরাদ্দ পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলো,কিন্তু বরাদ্দ পায়নি। তাই মানবিক কারনে করোনাকালীন সময়ে সাময়িক সময়ের জন্য তাকে বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে থাকতে দিয়েছি।

 

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মুশফিকুর রহমান(মিলন মাঝির) কাছে সার্বিক বিষয় জানতে বিদ্যালয়ে কেউ কে থাকতে দেয়ার বিষয়ে আমি অবগত নই।

 

উক্ত ঘটনার বিষয় পটুয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতির বদলি জনিত কারনে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

 

ভূমিহীন মোশাররফ কাজী বলেন আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিদ্যালয়ে দান করা হয়েছে আমার কোন থাকার জায়গা নেই তাই করোনা কালীন সময়ে সাময়িক সময়ের জন্য বিদ্যালয়ের কক্ষে কিছু দিন থেকেছি এবং বিদ্যালয় খোলার সাথে সাথে কক্ষটি ছেড়ে দিয়েছি। আমি ভূমিহীন শূধু একটু পৈত্রিক ভিটা রয়েছে আমি একটি সরকারী ঘর বরাদ্দ পাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান এর কাছে অনেক অনুরোধ করে তালিকায় নাম উঠাতে পারিনি। তিনি এসময় আরো বলেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আমার বিষয় টি উপলব্ধি করে যদি একটি ঘরের ব্যবস্হা করে তাহলে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারি। তিনি কথাগুলো কান্নাজড়িত কন্ঠে বলছিলেন।।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *