[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

কোটচাঁদপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ,তদন্তে মাউশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :

 

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশি অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক এএসএম আব্দুল খালেক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযোগ নিয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে।

তদন্তের পর রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের অভিভাবক ও সাংবাদিক মাউশিতে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ের তদন্তে আসেন এএসএম আব্দুল খালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা তসলিমা খাতুন, কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রতন মিয়া। প্রথমে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন। এরপর কথা বলেন দুজন অভিযোগকারীর সাথে। যাদের মধ্যে একজন কোটচাঁদপুরের সাংবাদিক অশোক দে, অন্যজন ওই বিদ্যালয়ের আগের পরিচালনা কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য ও বর্তমান পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ জাহিদ হোসেন।

এ বিষয়ে অভিযোগ কারী জাহিদ হোসেন বলেন,উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যোগদান করার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির মান ক্ষুণ্ণ হতে শুরু করে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আয়ের উৎস থেকে টাকা ছয়-নয় করেছেন। যার হিসাব দিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আয় ব্যায়ের কোনো হিসাব নেই বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্থানীয়রা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। এ কারণে বিদ্যালয়ের স্বার্থে ও তার অনিয়ম দূর্ণীতির তথ্য উদঘাটন করতে এই অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সাংবাদিক অশোক দে বলেন তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে অনিয়ম দূর্ণীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে এ সব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মফিজুর রহমান। তিনি বলেন সত্যি মিথ্যা অভিযোগ একজনের বিরুদ্ধে আরেক জন দিতেই পারে। অভিযোগ প্রমানিত না হাওয়া পর্যন্ত সে তো দোষী না। ব্যাড়ায় খ্যাত খেলে যা হয় আর কি। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত চলছে।

উল্লেখ্য এর আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ের সভাপতির কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি উভয় পক্ষেকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। পরে শিক্ষকেরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান তিনি ।

তদন্তের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন মিয়া বলেন, সরকারি হয়ে গেলে ওই সব প্রতিষ্ঠানে আমাদের দায়িত্ব কুমে যায়। আর যেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদ্যালয়ের সভাপতি সেখানে আমার আর কি বলার আছে।

নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান এবিষয়ে আমি অবগত আছি তদন্তে এসেছিলো আমার যাওয়ার কথা ছিলো অন্য কাজের কারণে যেতে পারেনি।

এ ব্যাপারে মাউশির খুলনা

অঞ্চলের উপপরিচালক এএসএস আব্দুল খালেক বলেন এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে এসেছিলাম উভয়ের লিখিত বক্তব্য নিয়েছি তদন্ত করে রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হবে। এরপর সিদ্ধান্ত দেবে মন্ত্রণালয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *