[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

কে জানে এই শিশুটি ভবিষ্যতে কি হতে চাই ? 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।

বিলাইছড়ি ( রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধি­- আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ নাগরিক। কে জানে এই শিশুটি ভবিষ্যতে কি হবে ? কেউ জানুক বা না জানুক কিন্তু শিশুটির স্বপ্ন অনেক দূর। সে বড় হ’য়ে নিজের জন্য দেশের জন্য অনেক কিছু করবে বলে জানান দেয় তার কর্ম ও সাহসীকতা দেখে।ছোটবেলা থেকেই শিশুরা খেলতে খেলতে শিখতে চাই।

 

শিশুটি আরও জানান দিল বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে অবশ্যয় প্রযুক্তির উপর বেশি জোড় দিতে হবে এবং ছোট বেলা থেকে এসব কাজকর্ম শিখতে হবে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

 

দেশে প্রযুক্তি উন্নতির ফলে মানুষ কম্পিউটার ও মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসে দেশ বিদেশে আপনজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও কথাবার্তা বলছে।করছে লেন-দেন, আদান-প্রদান,কেনা-বেচ­া ও পাঠদান থেকে শুরু করে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাছাড়া কেউ সামান্য স্বাবলম্বী হলে ক্রয় করছে মোটর বাইক,বোট ও সামর্থ্য অনুসারে করছে গাড়ি-বাড়ী।

 

শিশুটির নাম:- বিটন বাবু তঞ্চঙ্গ্যা, বয়স:- দুই বছরের নীচে। বাবার নাম:- শিশুবাবু তঞ্চঙ্গ্যা। তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে চোখে পড়ে এই শিশুটির দিকে। ফলে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দী হয়ে গেল এই শিশুটি। শিশুটি একটি বোটের ইঞ্জিন স্টার্ট বা চালু করতেছে।তার বাবা জানান, বাচ্চাটি প্রতিদিন বোটে যাওয়ার সময় আমার (বাবার) আগে হেণ্ডেল নিয়ে বোটের ইঞ্জিনটি স্টার্ট করে ।

 

সব মা-বাবা চাই তার সন্তান বড় হয়ে মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশের এবং সমাজের জন্য কিছু করুক। এবং এমন কোন মা নেই যে,তার সন্তানকে ভালোবাসেনা।চাই বড় হয়ে নেতা, দেশপ্রেমিক,শিক্ষক,ডা­ক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,সৈনিক, প্রফেসর,পাইলট এবং কোন বিসিএস ক্যাডার বা কোন কিছু করে মানুষের মত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকুক। কিন্তু কয়জনে পারে। একজন ছেলেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা কম ব্যাপার নয়। হয়তো অনেকে পারে যার অর্থ,মেধা,ধৈর্য্য দৃঢ় মনোবল ও কঠোর সাধনা রয়েছে।

 

বর্তমান সরকার শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছে। শিশুদের মৌলিক অধিকার পূরণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভিন্ন কার্ক্রম হাতে নিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো- মানুষ তার নিজ জীবনের স্থপতি।

 

তাই প্রত্যেক শিশু বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক এটাই সবার কামনা। তাই আসুন মা- বাবার পাশাপাশি আমরা সবাই শিশুদের প্রতি আরো বেশি দায়িত্ববান হই।

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *