২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

হবিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনে ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা: সুপারভাইজার গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাধবপুর প্রতিনিধি:হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এনা পরিবহনে ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাসের সুপার ভাইজার মানিক মোল্লা (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনে বাসে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উঠে সুপারভাইজারের উপর। গ্রেপ্তারকৃত মানিক মোল্লা নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের নাজির মিয়ার ছেলে। তিনি এনা পরিবহনের কর্তব্যরত সুপারভাইজার।

এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান, জানান হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার কর্চা গ্রামের একটি পরিবার এনা পরিবহনে (ঢাকামেট্টো-ব-১৪-৭৮৫১) ঢাকা যাচ্ছিল। পরিবারের সদস্যরা এনা পরিবহনে উঠার পর শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুর পাড় হবার পর সুপারভাইজার কৌশলে ওই শিশু ছাত্রীকে গাড়ীর পেছনের আসনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী আর্তচিৎকারে তার পিতাসহ অন্যান্য যাত্রীরা এগিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ চেষ্টার কবল থেকে রক্ষা করেন।

এ সময় উত্তেজিত যাত্রীরা সুপারভাইজার মানিক মোল্লাকে মারধর করে। যাত্রীরা মাধবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা নামক স্থানে গাড়ী থামিয়ে অভিযুক্ত সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

ভিকটিমের পিতা জানান, তিনি ঢাকার টঙ্গীর পাঠান বাড়ি এলাকায় সপরিবারে একটি ফুলের বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার মেয়ে স্থানীয় একটি ব্র্যাক স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। হবিগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

তবে গাড়ির সুপার ভাইজার মানিক মোল্লা এ ঘটনায় নিজেকে নির্দেশ দাবি করে বলেন, তিনি মেয়ের পাশে সিটে বসেছিলেন। হঠাৎ গাড়ির স্পিড ব্রেকারে ঝাঁকুনি লাগলে ঘুম থেকে জেগে কেঁদে উঠে। তখন মেয়ের মা, মামা, বাবা তাকে মারপিট শুরু করে।

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা সুপার ভাইজার মানিক মোল্লাকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।