২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

লালমনিরহাটের কৃষকেরা রোপা আমন ধান কাটতে শুরু করেছে; দাম নিয়ে বরাবরের মতো হতাশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

অনেক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে লালমনিরহাটের কৃষকেরা রোপা আমন ধানের পরিচর্যা শেষে এখন তা ঘরে তুলতে ব্যস্ত। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না থাকলে, লাভজনক এ ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষা শেষ হবে খুব দ্রুতই। তবে নায্য মূল্য নিয়ে বরাবরের মত এবারেও হতাশ আমন চাষিরা।

 

বন্যা, অনাবৃষ্টি, মহামারী করোনা ভাইরাসের মতো সব দুর্যোগ মোকাবেলা করে লালমনিরহাটের কৃষকরা ফলিয়েছে লাভজনক ফসল রোপা আমন।

 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে সময় মতো ফসল ঘরে তোলার আশায় বুক বাঁধা কৃষকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটতে ব্যস্ত। গৃহস্থ বাড়ির নারী সদস্যরা ও শিশুরাও মনের আনন্দে সময় দিচ্ছে ক্ষেতে।

কৃষকদের কাছে রোপা আমনের চাষ সবচেয়ে লাভজনক একটি ফসল। কিন্তু কৃষকরা বলছে সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায়, এবার বিপাকে পরতে হয়েছিলো অনেক চাষিকেই। লাভজনক এ ফসল ফলাতে সেচের পানি দিয়ে ধান চাষে বাড়তি খরচতো হয়েছেই পাশাপাশি অন্যান্য খরচও বেড়েই চলেছে ক্রমান্বয়ে।

 

তবে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা না করে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়েই সেচের পানি সংগ্রহ করছিলেন এবারের আমন চাষিরা।

 

চলতি মৌসুমে রোপা আমনের বীজতলা বপনের সময় বৃষ্টিপাত পর্যাপ্ত না হওয়ায় অনেক কৃষকের রোপা আমনের চারা নষ্ট হয়েছে এবার। হার না মানা কৃষকেরা বাজার থেকে টাকা দিয়ে পুনঃরায় বীজতলা সংগ্রহ করে।

 

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বছর এ জেলায় ৮৫হাজার ৫শত ১৫হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ৮শত ৩৫হেক্টর জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

 

এদিকে লক্ষ মাত্রা অর্জন হলেও, জেলায় ৪দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫টি উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলের কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের লোকসান পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ- পরিচালক শামীম আশরাফ। তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চরাঞ্চলের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি ও আগাম ভুট্টা চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন।

 

আর সরকার, জীবন যুদ্ধে হার না মানা প্রত্যন্ত পল্লীর কৃষকদের ফলানো, রোপা আমনের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে কৃষকদের সহায়তা করবে এমন প্রত্যাশা সবার।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।