নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলা হিসাব ভুক্ত তেঁথুলিয়া ডাকঘরে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে ই.ডি.এ নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী উত্তরাঞ্চল পোস্ট মাষ্টার জেনারেল বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগে তা জানা গেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তেঁথুলিয়া ডাকঘরে গত ৬-১০-২১ ইং তারিখে নিজ স্বার্থে লাভবান হয়ে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে অতি গোপনে ই.ডি.এ নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগটি ফেক ভিত্তিহীন ও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড উল্লেখ্য করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়োগের বৈধ্যতা চ্যালেঞ্জ করে অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ডিপিএমজি ওয়াহিদুজ্জামানের যোগ সাজশে পোস্ট অফিস পরিদর্শক (প্রশাসন) মজিবর রহমান উক্ত নিয়োগ বানিজ্য করেন। এছাড়াও সেখানে পোস্ট অফিস পরিদর্শক রাকিবুল হাসান জড়িত হয়ে নিয়োগ ও যোগদান সম্পূর্ণ করেন। উক্ত ঘটনায় এলাকাবাসী মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমন্তবস্থায় যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সৃষ্টির পূর্বেই এলাকাবাসী পরিস্থিতি মোকাবিলায় উর্ধতন অফিসারবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, অঘোষিত উক্ত নিয়োগ বাতিল পূর্বক ঘুষ বানিজ্যের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ করা হয়।
এদিকে ডিপিএমজি ও পোস্ট অফিস পরিদর্শকরা সরকারী মন্ত্রী ও এমপিদের ডি ও লেটার সুপারিশকৃত আবেদনও তোয়াক্কা না করে নিয়োগ বানিজ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকার বিরোধীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী উত্তরাঞ্চল পোস্ট মাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করে ফোন কেটে দেন। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব্য হয়নি।
উল্লেখ্য যে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাজশাহী ডাক বিভাগের ডিপিএমজি ও পোস্ট অফিস পরিদর্শক মজিবুর রহমান সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়াও সেই সংবাদে এক নারী শ্লীলতাহানির অভিযোগসহ অন্যান্য ডাকঘরের ইডিএ নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ বিষয়ে কথা বললে পোস্ট অফিস পরিদর্শক মজিবুর রহমান বলেন, এটা নিয়োগ নয়, ইডিএ পদে অস্থায়ী এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগে আমার কোন হাত নেই। আর যারা অভিযোগ দিচ্ছে তারা আমাকে চিনেও না। আমারও তাদের সাথে কখনো দেখাও হয়নি।
Leave a Reply