২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

মাধবপুরে এসিড সন্ত্রাসের শিকার দুই বোন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে দুর্বৃত্তের ছুড়া এসিডে ঝলসে গেছে দুই বোন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে ঘরের গ্রিল ভেঙ্গে ঘুমন্ত দু-বোনের উপর অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এসিড ছুড়ে মারে। পরে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত ডাক্তার তাদের ঢাকা প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের এখলাছ মিয়ার মেয়ে হাবিবা আক্তারকে প্রায় ১০ মাস পূর্বে বিয়ে দেয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সায়েক গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে মুমিন মিয়ার সাথে। বিয়ের তিন মাস পরই হাবিবা তার শ^শুর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। গত ১৫ দিন আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) হাবিবা প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাবার শেষে ছোট চার বোনকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় ২টার দিকে কে বা কারা ঘরের গ্রিল ভেঙ্গে তাদের উপর এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিডে হাবিবা আক্তার (২০) ও তার ছোট বোন স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা আক্তার (১০) ঝলসে যায়।

তাদের শোর-চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাৎক্ষণিক দু-বোনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইফুর রহমান সোহাগ তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

জরুরী বিভাগে কর্মরত ডা. সাইফুর রহমান জানান, দু’বোনই এসিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বড় বোন হাবিবা আক্তারের মুখের প্রায় ৭০ শতাংশ ঝলসে গেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। এছাড়াও ছোট বোন আয়েশার শরীরের বিভিন্নস্থানে এসিড পড়েছে। দু’জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।