৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

বড়লেখায় ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বড়লেখা প্রতিনিধি জেহিন সিদ্দিকী::

কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় বড়লেখায় পর্যটকসহ ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক অভিযানে এই জরিমানা করা হয়।

একই সময় হাকালুকি হাওর এলাকা থেকে পর্যটক বহনকারী সাতটি যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। কিন্তু অনেকেই লকডাউনের বিধিনিষেধ মানছেন না। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অকারণে ঘোরাফেরা করছেন, নির্ধারিত সময়ের বাইরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখছেন। লকডাউন বাস্তবায়নে বড়লেখা পৌর শহর, উত্তর চৌমুহনী, দাসেরবাজার, কাননগোবাজার, হাকালুকি হাওরের হাল্লা, দরগাবাজার ও পাখিয়ালা চৌমুহনীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হাকালুকি হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটকসহ ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে হাকালুকি হাওরের হাল্লা এলাকা থেকে পর্যটক বহনকারী ৩টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পরে এগুলো তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিদ্যুৎ কান্তি দাস, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শাহিন আহমদের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, ‘বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও হাকালুকি হাওর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটকসহ ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা এবং ৭টি পর্যটকবাহী যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে এ ধরণের অভিযান চলবে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।