২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।রবিবার

পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল ও কোর্ট বিধান সভার গরিমা কে শেষ করে দিতে চাইছেন, বললেন স্পিকার বিমান ব্যানার্জী।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।।

 

আজ পশ্চিম বাংলার রাজ্য বিধানসভার স্পিকার সারা ভারতের স্পিকার সম্মেলনে ভ্যারচুওয়াল বৈঠকে মিলিত হয়ে এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন পশ্চিম বাংলার বিধানসভার কোন অনুমতি না নিয়ে বিধান সভার সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করছে। সেই ক্ষেত্রে পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের নির্দেশ মেনে এই কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকারের সি বি আই ও ইডি মতো প্রতিষ্ঠান তাই নয় তারা ভুলে গেছেন কোন বিধানসভার সদস্য কে গ্রেফতার করতে গেলে সেই রাজ্যের বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি লাগে। স্পিকার হিসেবে তিনি আরও বলেন যে কোন লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্য কে গ্রেফতার করতে গেলে লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অনুমোদন লাভ করতে হয়। সম্প্রতি পশ্চিম বাংলার বিধান সভার তিন জন সদস্য যথা কলকাতা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পশ্চিম বাংলার মন্ত্রী জনাব ফিরাদ ববি হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্র এবং কলকাতা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক পশ্চিম বাংলার মন্ত্রী শ্রী শুশোভন বন্দোপাধ্যায় কে গ্রেফতার করেছিল সি বি আই নারদা ঘুষ কান্ডে। এবং তাদের কে জেলে পাঠানো হয়। এবং সি বি আই এই নারদা ঘুষ কান্ডের তদন্ত কেস ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে করছেন। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে যে কোন রাজ্যের বিধান সভার সদস্য ও এম পি র বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ কেস থাকলে তাকে গ্রেফতার করতে কোন অনুমোদন লাভ করতে হবে না সেই রাজ্যের বিধান সভার স্পিকার ও সরকারের পক্ষ থেকে। তারা সরাসরি গ্রেফতার করতে পারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। সেখানে কোন রক্ষা কবজের দরকার পড়বে না। আজ পশ্চিম বাংলার স্পিকার বিমান ব্যানার্জী কে একহাত নিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতা ও সাবেক বিধায়ক শ্রী সৌমিক ভট্টাচার্য বলেন যে পশ্চিম বাংলার বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জী নিরপেক্ষ নয়। কারণ বহু দল বিরোধী বিধায়ক কে তিনি বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন নি। তার স্পিকার হিসেবে নিরপেক্ষতা নেই। এবং তার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃনমূল দলে যোগ দেওয়া নেতা মুকুল রায় কে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া। এটি কখনো হতে পারে না। কারণ বিরোধী দল ঠিক করে কে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ হবে । এর আগে বহু বিরোধী দলের সদস্য শাসক দলে যোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী আইনের মাধ্যমে তাদের বিধান সভার সদস্য পদ খারিজ করে দেননি। তাই তার মুখে পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল ও কোর্টের নির্দেশনা সমলোচনা মানায় না।।।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।