আবদুল মান্নানঃ- পরশুরাম প্রতিনিধি
পরশুরামে অসচ্ছল সাংস্কৃতি কর্মীদের নামে বরাদ্ধকৃত ভাতা পেলেন ভিন্ন পেশার লোকজন। উল্লেখ্য যে, পরশুরাম উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত ৬০জন সাংস্কৃতিককর্মীদের মধ্যে উক্ত ভাতা প্রাপ্তদের কারো নাম নেই।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে পরশুরাম উপজেলার সাংস্কৃতিককর্মীদের ভাতা প্রদানের জন্য ২৫হাজার টাকা বরাদ্ব পাওয়া যায়। কিন্তু পরশুরামে সরকারী নিবন্ধিত প্রকৃত সাংষ্কৃতিক কর্মীদেরকে বঞ্চিত করে অনেকটা গোপনে পরশুরাম বাজারের মুদি দোকানদার, টমটম চালক, দোকানের কর্মচারী, মসল্লা দোকানদার, দর্জি শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
দশজনের তালিকার মধ্যে মাত্র তিনজন সাংস্কৃতিককর্মী থাকলেও তার মধ্যে সোয়েব মজুমদার বাৎসরিক ১৪হাজার ৫শ টাকা করে ভাতা পান।
এই বিষয় পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রিয়াংকা দত্ত রবিবার সাংবাদিকদের জানান, অসচ্ছল সাংস্কৃতিক কর্মীদের জন্য ২৫হাজার টাকা বরাদ্ব আসলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল করিম মজুমদার বাদল ১০জনের তালিকা দিবেন বলে আবদার করেন। পরে তিনি ১০জনের নাম জমা দেন। ইউএনও আরো বলেন, যেহেতু আমি নতুন যোগদান করেছি তাই ভাতা প্রাপ্তরা প্রকৃত সাংস্কৃতিক কর্মী কিনা আমার জানা নেই।
জানা গেছে, উপজেলা সাংস্কৃতিকর্মীদের নামের তালিকা আসার খবর শুনে বিতর্কিত ঠিকাদার শিবু লাল নাথ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজস করে তার নিকট আত্বীয় ১০জনের নাম গোপনে জমা দেয়।
এই বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতারে চিকিৎসাধীন ছিলেন পরশুরামে প্রকৃত সাংষ্কৃতিক কর্মীদের বাদ দিয়ে বিভিন্ন পেশার লোকের নাম কারা দিয়েছে বিষয়টি তার জানা নেই।
পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল জানান, সাংস্কৃতিক কর্মীদের নামে বরাদ্বকৃত ভাতা ভিন্নপেশার লোকজনের মাঝে বিতরণ করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
পরশুরাম উপজেলা প্রশাসনে প্রদত্ত ভাতা প্রাপ্তরা হলেন
হারাধন চন্দ্র নাথ পেশায় দর্জি শ্রমিক, রতন চক্রবর্তী মুদি দোকানদার,অমল কান্তি দেবনাথ স্থানীয় দোকানদার,সম্ভো চন্দ্র নাথ দোকান কর্মচারী, রিপন দেবনাথ টমটম চালক, সজল দেবনাথ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, স্বপন কান্তি সাহা, এছাড়াও সোয়েব মজুমদার বাৎসরিক ভাতাভোগী।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল করিম মজুমদার বাদল জানান দশজনের নাম দিতে ইউএনও তাকে দায়িত্ব দিলে তিনি অন্য একজনের কাছ থেকে নাম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
শিবু লাল নাথ জানান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তার কাছে সাংস্কৃতিক কর্মীদের তালিকা চাননি দুস্থ্য ও হতদরিদ্র ১০জনের নাম দিতে বলেছেন তাই তিনি ১০জনের নাম দিয়েছেন।
Leave a Reply