৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

পরশুরামে অসচ্ছল সাংস্কৃতিকর্মীদের নামে বরাদ্ধকৃত ভাতা পেলেন ভিন্নপেশার লোকজন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আবদুল মান্নানঃ- পরশুরাম প্রতিনিধি

 

 

পরশুরামে অসচ্ছল সাংস্কৃতি কর্মীদের নামে বরাদ্ধকৃত ভাতা পেলেন ভিন্ন পেশার লোকজন। উল্লেখ্য যে, পরশুরাম উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত ৬০জন সাংস্কৃতিককর্মীদের মধ্যে উক্ত ভাতা প্রাপ্তদের কারো নাম নেই।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে পরশুরাম উপজেলার সাংস্কৃতিককর্মীদের ভাতা প্রদানের জন্য ২৫হাজার টাকা বরাদ্ব পাওয়া যায়। কিন্তু পরশুরামে সরকারী নিবন্ধিত প্রকৃত সাংষ্কৃতিক কর্মীদেরকে বঞ্চিত করে অনেকটা গোপনে পরশুরাম বাজারের মুদি দোকানদার, টমটম চালক, দোকানের কর্মচারী, মসল্লা দোকানদার, দর্জি শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

দশজনের তালিকার মধ্যে মাত্র তিনজন সাংস্কৃতিককর্মী থাকলেও তার মধ্যে সোয়েব মজুমদার বাৎসরিক ১৪হাজার ৫শ টাকা করে ভাতা পান।

এই বিষয় পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রিয়াংকা দত্ত রবিবার সাংবাদিকদের জানান, অসচ্ছল সাংস্কৃতিক কর্মীদের জন্য ২৫হাজার টাকা বরাদ্ব আসলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল করিম মজুমদার বাদল ১০জনের তালিকা দিবেন বলে আবদার করেন। পরে তিনি ১০জনের নাম জমা দেন। ইউএনও আরো বলেন, যেহেতু আমি নতুন যোগদান করেছি তাই ভাতা প্রাপ্তরা প্রকৃত সাংস্কৃতিক কর্মী কিনা আমার জানা নেই।

জানা গেছে, উপজেলা সাংস্কৃতিকর্মীদের নামের তালিকা আসার খবর শুনে বিতর্কিত ঠিকাদার শিবু লাল নাথ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজস করে তার নিকট আত্বীয় ১০জনের নাম গোপনে জমা দেয়।

এই বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতারে চিকিৎসাধীন ছিলেন পরশুরামে প্রকৃত সাংষ্কৃতিক কর্মীদের বাদ দিয়ে বিভিন্ন পেশার লোকের নাম কারা দিয়েছে বিষয়টি তার জানা নেই।

পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল জানান, সাংস্কৃতিক কর্মীদের নামে বরাদ্বকৃত ভাতা ভিন্নপেশার লোকজনের মাঝে বিতরণ করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

পরশুরাম উপজেলা প্রশাসনে প্রদত্ত ভাতা প্রাপ্তরা হলেন

হারাধন চন্দ্র নাথ পেশায় দর্জি শ্রমিক, রতন চক্রবর্তী মুদি দোকানদার,অমল কান্তি দেবনাথ স্থানীয় দোকানদার,সম্ভো চন্দ্র নাথ দোকান কর্মচারী, রিপন দেবনাথ টমটম চালক, সজল দেবনাথ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, স্বপন কান্তি সাহা, এছাড়াও সোয়েব মজুমদার বাৎসরিক ভাতাভোগী।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল করিম মজুমদার বাদল জানান দশজনের নাম দিতে ইউএনও তাকে দায়িত্ব দিলে তিনি অন্য একজনের কাছ থেকে নাম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।

শিবু লাল নাথ জানান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তার কাছে সাংস্কৃতিক কর্মীদের তালিকা চাননি দুস্থ্য ও হতদরিদ্র ১০জনের নাম দিতে বলেছেন তাই তিনি ১০জনের নাম দিয়েছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।