[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

দূর্যোগ আর লবণে দিশেহারা সুন্দরবন উপকূলের মানুষ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ 

দূর্যোগ আর লবণে দিশেহারা সুন্দরবন উপকূলের কয়রার মানুষ। ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশোমন দিবসে বিজ্ঞজনের অভিমত।

উপকূলীয় জনপদ খুলনা জেলার কয়রার মানুষ বারবার দূর্যোগের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শত বাধা পেরিয়ে আবারও উঠে দাঁড়ায়। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের পর তারা ঘর তোলে, বীজ বোনে, আবার নতুন করে বাঁচতে শেখে। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেলেও হার মানে না উপকূলের মানুষ। তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকে।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল আজ শুধু দুর্যোগের গল্প নয়, এটি টিকে থাকা ও অভিযোজনের লড়াই আর আশার প্রতীক। এক কথায় দক্ষিণাঞ্চলের এই উপকূল যেন প্রকৃতির পরীক্ষাগার। কয়রা উপজেলায় ৩ লক্ষ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে প্রতিনিয়ত দূর্যোগ ঝুঁকিতে রয়েছেন ১ লাখ মানুষ। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১৯৭০ সালের ভয়াবহ  ঘূর্ণিঝড় থেকে শুরু করে ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালের বন্যা, ২০০৭ সালের সিডর, ২০০৯ সালের আইলা, আর ২০২০ সালের আম্ফান- প্রতিটি দূর্যোগেই খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষের জীবন ও জীবিকায় গভীর ক্ষত তৈরী করেছে। আইলা ও আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতিতে শুধু খুলনা-সাতক্ষীরার উপকূলে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে ২৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমি।
বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের উপজেলা আহবায়ক অভিজিৎ মহলদার বলেন, কয়রায় বেড়িবাঁধ আছে, কিন্তু টেকে না। আমরা প্রতি বছর বাঁধ দেখি, আবার তা ভেঙে যেতেও দেখি। মাটি কেটে তাড়াহুড়ো করে দিলে সেটা তো টিকবে না। সামান্য বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি আসলেই সব শেষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড যেভাবে বাঁধ দিচ্ছে, তা অনেকেটাই প্রহসন। কারণ বাঁধের ঠিক পাশ ঘেঁষে নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে কপোতাক্ষ নদ এখন কাঁশীর হাটখোলা খেয়াঘাট থেকে সাতক্ষীরার গাবুরা পর্যন্ত নতুন চর তৈরী করছে। নদীর বাঁক পরিবর্তন হয়ে কয়রার মূল অংশে হুমকি তৈরী হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ী হারিয়ে উপকূলের বহু মানুষ এখন শহরমুখী। কৃষক হচ্ছেন রিকশাচালক, মৎস্যজীবী হচ্ছেন দিনমজুর- ফলে ভেঙে পড়ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মামুনার রশিদ বলেন, দূর্যোগে মানুষকে সচেতন করতে সরকারীভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি 
তারিখঃ ১৩/১০/২৫ ইং। 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *