[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

মানিকগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল এর স্ত্রী হত্যায়,গ্রেপ্তার ৪।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোশারফ হোসেন (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

 

মানিকগঞ্জে পৌর এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানার দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিস আক্তার (৩০) এর হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচিত হয়েছে। খুন হওয়ার ৩ দিন পর রহস্যউদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

বুধবার সকাল ১১ টার দিকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজবাড়ীর মো. কবির হোসেন (৩০), মো. রিয়াজ উদ্দিন সরদার রিয়াজ (২৬), বগুড়ার শাকিল হাসান (১৯) ও বিলকিসের বান্ধুবী রংপুরের আঁখি মনি ওরফে লিপি (২০) আক্তার।

 

পুলিশ সুপার বলেন, সামান্য কিছু টাকা এবং স্বর্ণালংকারের লোভে বিলকিসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বিলকিসের বান্ধুবী আঁখি মনি ওরফে লিপি। আর এই হত্যাকান্ডে সহায়তা করে কবির হোসেন , রিয়াজ উদ্দিন সরদার এবং শাকিল হাসান নামের তিন ব্যক্তি।

 

তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় বিলকিসের বাসা থেকে লুট হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন, এক জোড়া রুপার নূপুর, তিন জোড়া স্বর্ণের কানের রিং, ব্রেসলেট একটি, লকেট একটি, কানের দুল দুইটি এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা। গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, পুলিশ কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মাসুদ রানার দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিস আক্তার (৩০)। ছেলে ফাহিম (১২) ও মেয়ে দোলা আক্তার (৬) কে নিয়ে মানিকগঞ্জ শহরের ভাড়া বাসায় থাকেন। মাসুদ রানা কর্মরত গাজিপুর জেলায়। এরই মধ্যে ১১ সেপ্টেম্বর শহরের ভাড়া বাসা থেকে বিলকিসের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।

 

মরদেহটি উদ্ধারের পর মানিকগঞ্জ সদর থানায় বিলকিসের বাবা মজেম বেপারী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন । এরপর আসামী ধরতে মরিয়া হয়ে কাজে নামে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। একে একে গ্রেপ্তার হয় বিলকিস হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সকল আসামী। উদ্ধার করা হয় বিলকিসের বাসা থেকে লুট হওয়া, মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালংকার।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *