২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

সিলেটে সাহায্যের জন্য খুড়িয়ে ঘুরছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী বিশ্বনাথের সুমন; সাহায্যের হাত বাড়ান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সিলেট টাইমস ডেস্কঃ এসময় কথা ছিলো তার পড়ার টেবিলে থাকার, তবে এখন সে খুড়িয়ে হাটছে সিলেট শহরের পথে এমন একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চোখে পড়ে।

স্ট্যাটাসটি দেয় “ট্রল কলেজেস সিলেট” (Troll Colleges Sylhet) নামের একটি পেইজ:

ছেলেটার নাম সুমন। সিলেট হক C.N.G পাম্প, সোবহানী ঘাটে গত ১৫ দিন ধরে হাটা হাটি করছে। ভিক্ষা করার জন্যে নয়, হাটাহাটি করছে একটু সাহায্যের জন্যে। বাবাহীন ডিগ্রি কলেজে পড়া ছেলেটি সামনে HSC পরিক্ষী দিবে। পড়ার টেবিলে বসার সময়ে সে সকাল থেকে বিকাল অবধি ছুটাছুটি করে বেড়াচ্ছে এদিক সেদিক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তার একটা পায়ের রগ ছিঁড়ে গেছে তাই পাটা প্রায় অবসই বলা চলে। চিকিৎসার জন্যে প্রায় লাখখানেক টাকার প্রয়োজন।

অনেকে ইতো এই ফাল্গুন ও ভালবাসা দিবসে কাউকে না কাউকে ভালবাসা দিবেন, সেখান থেকে একটুখানি ভালবাসা যদি দেয়া যায় এই ছেলেটাকে তবে এগিয়ে আসার অনুরোধ রইলো। আমি নিজেও পাশে দাঁড়িয়েছি। তবে একা কেউ চাইলেই সব কিছু পারে না, মিলিত প্রচেষ্টায় বদলে দেয়া যায় অসম্ভব জিনিসগুলোকেও।

তাও যদি না পারেন তবে পোষ্টি একটু শেয়ার করবেন অথবা কারো সামনে এই ছেলেটি কথা তুলে ধরবেন। আপনি, আমি যদি না পারি তবে অন্য কেউ হয়তো পারবে এই ছেলেটিকে সাহায্য করতে। আল্লাহ কাউকে না কাউকে তো সেই তৌফিক দিয়েছেন নিশ্চয়ই তার পাশে দাঁড়ানোর, আর মাধ্যমটা অন্তত না হয় আপনি হলেন।

তার সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম: 01777-008186 এই নাম্বারটা তার নিজের। ওকে কল দিয়ে সরাসরি কথা বলে হেল্প করতে পারেন।
তাকে পাওয়া যাবে সোবানীঘাট সংলগ্ন হক সি এন জি পাম্পে।

এ স্ট্যাটাসে থাকা মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায়, তার নাম সুমন দাস। সে বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার এক পায়ের রগ কেটে গেছে, ঢাকায় চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে পরীক্ষা, তাই সে সিলেটে এসেছে। সহায়তার ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইছে বলে জানায়। সুত্রঃ বিয়ানীবাজার টাইমস

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।