এম এ রশীদ সিলেট থেকেঃঃ
সিলেটে এক সংবাদকর্মীকে দফায় দফায় উদ্দেশ্য মূলকভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদের সুনামধন্য জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেটের বহুল প্রচারিত দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেস পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বি.এম.এস.এফ) ও রুর্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আর.জে.এফ) এর সদস্য সংবাদকর্মী মোঃ রায়হান হোসেন নিজের নিরাপত্তার জন্য বাদি হয়ে ২ জন কথিত সাংবাদিককে অভিযুক্ত করে ২৩ অক্টোবর (শনিবার) সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে আসামীরা হচ্ছে- গোয়াইনঘাট থানার গুচ্ছগ্রাম এলাকা ও বালুচর শাহীঈদগাহের বর্তমান ভাড়াটিয়া মৃত মুহিবুর রহমানের পুত্র কথিত সাংবাদিক জাকির হোসেন (সুমন) ও বাসা নং-১১০ আল-ইসলাহ বালুচর এলাকার আওলাদ আলীর পুত্র কথিত সাংবাদিক মোহন আহমদসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- মোহন আহমদসহ মোট ০৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১৫/০৯/২০২১ ইং তারিখে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সাইবার পিটিশন মামলা নং- ৯০/২০২১, দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। উক্ত মামলার সুত্র ধরে তাহার কর্মরত স্থানীয় দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণে তাদের বিরুদ্ধে গত ১৬/০৯/২০২১ ইং তারিখের সংখ্যায় একটি সংবাদ প্রকাশ করেন তিনি। উক্ত সংবাদটি প্রকাশ করাই তাহার জীবনের কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
উক্ত সংবাদের জের ধরে তাহার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বর্ণিত জাকির হোসেন সুমন ও মোহন আহমদসহ অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তরা একত্রিত হয়ে তাহার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও সম্মানহানিকর ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক তিনি এই চক্রের বিরুদ্ধে গত ২২/০৯/২০২১ ইং তারিখে শাহপরান (রহ.) থানায় একখানা সাধারণ ডায়েরী করেন, যাহার জিডি এন্ট্রি নং- ৯৮৫। এমনকি এই চক্র ওই দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আসামী একজন মহিলাকে দিয়ে তিনিসহ সিলেটের মোট ১৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গত ২৩/০৯/২০২১ ইং তারিখে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের সাইবার পিটিশন মামলা নং- ৯৮/২০২১, দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারার কোন উপাদান বিদ্যমান না থাকায় Cr.P.C – এর ২০৩ ধারা অত্র মামলাটি খারিজ করেন।
এতে এই চক্রটি আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে নাম মাত্র অনিবন্ধিত কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে তাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে। উক্ত সংবাদ তাহার নজরে আসলে তিনি আত্মসম্মান রক্ষার্থে জাকির হোসেন (সুমন) ও মোহন আহমদসহ ০৯ জনকে আসামী করে গত ২৮/০৯/২০২১ ইং তারিখে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের সাইবার পিটিশন মামলা নং- ১০৪/২০২১, দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত তাহার মামলাটি আমলে নিয়ে শাহপরান (রহ.) থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলাটি তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এতে বর্ণিত জাকির হোসেন সুমন তাহার উপর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে তাহাকে হয়রানির উদ্দেশ্য তিনিসহ সিলেটের মূলধারার ২০ জন সাংবাদিককে আসামী করে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের সাইবার পিটিশন মামলা নং- ১০৬/২০২১, দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোন উপাদান বিদ্যমান না থাকায় Cr.P.C – এর ২০৩ ধারা অনুসারে মামলাটিও খারিজ করেন।
তাতেও থেমে নেই ওই চক্র। বর্ণিত অভিযুক্তরা নারীসহ নিষিদ্ধ বস্তু দিয়ে তাহাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রকমের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
গত ২২/১০/২০২১ ইং তারিখ রাত অনুমান ০৭:০৬ ঘটিকার সময় তাহার এক পরিচিত লোক তাহার ব্যবহৃত নাম্বার ও হোয়াটসঅ্যাপে সর্তক করে জানান- বর্ণিত অভিযুক্তরা নবীগঞ্জের কোন এক মহিলাকে দিয়ে নতুন করে তাহাকে হয়রানির করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে।
বর্ণিত অভিযুক্তদের এমন অপচেষ্টায় তাহাকে যেকোন সময় তাহার সম্মানহানি ও বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলায় হয়রানির করার আশাংঙ্খা রহিয়াছে। এই চক্রের এহেন কর্মকান্ডে তাহার বড় ধরনের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষয়ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা রহিয়াছে।
এই চক্রের বিরুদ্ধে উপরে উল্লেখিত সমূহ মামলা ও তাহার উপর দায়েরকৃত বিভিন্ন মিথ্যা মামলার খারিজের উপযুক্ত ডকুমেন্টসসহ সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
সর্বশেষে সংবাদকর্মী মোঃ রায়হান হোসেন এই চিহ্নিত মামলাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের হাত থেকে তাহার মতো নিরীহ মানুষদের রক্ষার জন্য সিলেটের উর্ধ্বতন কর্মকতার নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply