নাজিরুল ইসলাম, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথম ধাপে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল থেকে রোদ-বৃষ্টি অপেক্ষা করে টিকাকেন্দ্রে গুলোতে টিকা নিতে আসা আগ্রহী নারী ও পুরুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
আজ শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলা খরনা ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামীলীগেল সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ।
তারপর থেকে উপজেলার সকল ইউনিয়নের টিকাকেন্দ্র গুলো পর্যায়ক্রমে পরদির্শন করেন উপজেলা প্রসাশন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি এম সুলতান আহম্মেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা,সহকারী কমিশন ভূমি আশিক খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোতারব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলীপ কুমার চৌধুরী, খরনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীন।
টিকা কার্যক্রমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোহাইল ইউপি চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু, আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, মাদলা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, চোপিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান, আমরুল ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল, আশেকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম, খোট্রাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মাঝিড়া ইউনিয়ন আব্দুস ছালাম,উপজেলা সহকারী প্রেগ্রামার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক রিপন, সাবেক সহকারী অধ্যাপক আওরঙ্গজেব, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারী মল্ডল, গাজিউল হক দুদু
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি একেএম জিয়াউল হক জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, আড়িয়া ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা মাসুদ রানা, আরিফুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, মিন্টু মিয়া প্রমুখ।
উপজেলা ভ্যাকসিন কমিটির তথ্য মতে,প্রথম ধাপে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬০০টি টিকা টোকেনধারীদের এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ১ কেন্দ্রে ৩ টি বুথের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয়। টিকাকার্যক্রমে প্রতিটি কেন্দ্রে ৬ জন টিকাদানকর্মী ও তাদের সহযোগী হিসেবে আরও ৯ জন স্বেচ্ছাসেবক দ্বায়িত্ব পালন করছে। উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে সকল কর্মকর্তাগণ কেন্দ্র ভিত্তিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
সরেজমিনে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষের চেয়ে নারীদের টিকা নিতে আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মত। আগ্রহীদের দুপুরে প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। টিকা গ্রহিতাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবগুলো কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার পর বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসময় টোকেন ছাড়া টিকা নিতে আগ্রহী অনেক তরুণ তরুণী ও বয়স্ক নারী পুরুষ টিকা না পেয়ে ফেতর যেতে দেখা গেছেন।
আমরুল ইউনিয়ন নগর মাদ্রাসা কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা রেহেনা বেগম বলেন, সকাল সাড়ে ৯ টায় টিকা নিতে মাঠের মধ্যে রোদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। মহিলাদের ভীড় একটু বেশি, একটু আগে ইউএনও স্যার এসে বারান্দায় বসার ব্যবস্থা করলেন।
গোহাইল ইউনিয়নের আফজাল হোসেন বলেন,স্থানীয় ইউপি সদস্য কাছ থেকে টিকা টোকেন আর ভোটার কার্ডের ফটোকপি নিয়ে টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি আর কতক্ষণ পরে টিকা নিতে পারবো বুঝতে পারছি না।
মাদলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী সঙ্গে কথা হয় দুপুরে তিনি জানান একটু আগে টিকা নিয়েছি। স্বাস্থ্য কর্মীরা বিশ্রাম করতে বললেন তাই বিশ্রাম করছি।
উপজেলা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে যারা টোকেন পেয়েছেন তারাই ভ্যাকসিন পাচ্ছে। এসময় তিনি বাকিদের ধৈর্য ধারন করার জন্য অনুরোধ করেন। পর্যায়ক্রমে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া আশ্বস্ত করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু উপজেলা বাসীকে করোনা মহামারী থেকে সুরক্ষার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। আরও বলেন দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী এই ভালবাসা দায়িত্ববোধ চিরস্বরনীয় হয়ে থাকবে।
পরিশেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান টিকা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply