৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

লালমনিরহাটে সাড়ে ৩হাজার গাছ কেটেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রায় ৪কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। গাছ কাটতে বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যান হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগও উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় ডাইরী হয়েছে।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ড ময়দান হইতে বাউরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের সীমানা পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের দুই ধারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় সাড়ে ৩হাজার গাছ কেটেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪কোটি টাকা।

 

এ বিষয়ে সচেতন মহলের পক্ষে বুড়া সারডুবি গ্রামের মৃত ছকমল খাঁয়ের ছেলে আব্দুর রহমান উক্ত গাছ কাটা নিয়ে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করার প্রস্তুতির কথা শুনে, বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল (সোহেল) তার মুটোফোনে অভিযোগকারী আব্দুর রহমানকে হুমকি প্রদান করেন। পরে গত রোববার (৮ আগস্ট) আব্দুর রহমান হুমকীদাতা ইউপি চেয়ারম্যানসহ জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় গত তাং ০৮/০৮/২১ একটি ডায়েরী করেন যাহার নং-৩৫০।

 

অভিযোগকারী আব্দুর রহমান জানান, কিছু সংখ্যক লোক গত কয়েকদিন ধরে অবৈধভাবে গাছগুলি কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল (সোহেল) মুটোফোনে হুমকি দেয়। গাছ কাটার বিষয় আমি যেন মাথা না ঘামাই সে বিষয়ে বিরত থাকতে বলেন।

 

আব্দুর রহমান আরও জানান, ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল কুদ্দুস লিটনসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

 

এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য রুহুল কুদ্দুস লিটন তার বিষয়ে আনিত অভিযোগ এর কথা অস্বীকার করেন এবং বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল এর সাথেও যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত ও হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

 

তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।