২৫শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১০ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বৃহস্পতিবার

রংপুরের কাউনিয়ায় আমন চাষে কৃষকের সাফল্যের হাতছানি ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রিয়াজুল হক সাগর রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

 

কাউনিয়ায় চলতি আমন মৌসুমে চারা রোপণের পর ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। প্রকৃতির বৈরি আবহাওয়ার পরেও সম্পুরক সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছেন চাষিরা। কখনো প্রখর রোদ, আবার কখনো বৃষ্টিতে ভিজে ধান ক্ষেত পরিচর্যা করছেন কৃষক। বিগত বছরগুলোতে আমন মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি আর বন্যার সাথে লড়াই করে আমন ধান চাষ করলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। মৌসুমের শুরুতে দেখা যায়নি বন্যার তেমন প্রভাব। চারা রোপণের পরপরই দফায় দফায় বৃষ্টি আর কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় রোপণ করা চারা দ্রুত বেড়ে ওঠেছে। সবুজে ছেয়ে গেছে ক্ষেত। ভাদ্রের তালপাকা গরম ও হাল্কা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে দিগন্ত জুড়ে সবুজের চাদরে ঢাকা ধান ক্ষেত। সারাদিন কৃষাণ-কৃষাণী আর কৃষি শ্রমিকের কর্মব্যস্ততায় মুখরিত ফসলের মাঠ। আর দিগন্ত জুড়ে সবুজের হাত সানির মাঝেই উঁকি দিচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। কৃষকদের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত, খাদ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। তাদের আন্তরিকতায় কৃষিতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। চলতি মৌসুমেও কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষা করছেন এলাকার কৃষকেরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড ৯৫০ হেক্টর, উফশি ১০৫০ ও দেশী জাতের ১০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও শ্রমিক নির্ভরতা কমাতে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রায় ১শ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। আধুনিক চাষ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে ধান চাষের বিষয়ে কথা হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সাথে। নিজপাড়া গ্রামের ধানচাষী শ্রী প্রহলাদ চন্দ্র বলেন, এবছর চারা রোপণের সময় পানির অভাবে আমরা সেচ দিয়ে চারা রোপণ করেছি। এখন অবশ্য দুএকদিন পরপর বৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষেতের অবস্থা আপাতত ভালোই দেখা যাচ্ছে। গদাই গ্রামের কৃষক গফুর আলী,ঢুষমারা চরের কুষক কোব্বাত বলেন, চলতি আমন মৌসুমে কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে বিনামূল্যে সার ও স্বল্পমেয়াদী উচ্চফলনশীল হাইব্রিড এজেড এবং বিনা-১৭ জাতের ধানবীজ দিয়েছে। আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শ মত বীজ বপন ও রোপন করেছি। বর্তমানে ক্ষেতের চেহারা খুব ভালো। আশাকরি অন্যান্য বারের চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে কাউনিয়ায় ১১৩৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে অর্জন হয়েছে ১১৪৬০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এখন ক্ষেতের পরিচর্যা ও সার প্রয়োগে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ ও ক্ষেতের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে আমাদের সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষেতের বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করে ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।